প্রথম দুই টেস্টে জিতে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। ছবি: সংগৃহীত
সিরিজ সমতায় ফেরানোর মিশনে ওল্ড ট্রাফোর্ডে অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে বুধবার (১৯ জুলাই) অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা সফরকারীদের লক্ষ্য ১ ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা নিশ্চিত করা। এই ম্যাচ জিতলেই দীর্ঘ ২২ বছরের অপেক্ষা কাটিয়ে ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ জেতার নজির গড়বে প্যাট কামিন্সের দল। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
হেডিংলি টেস্ট জিতে এবারের অ্যাশেজের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। তবে ওল্ড ট্রাফোর্ডে তার পুনরাবৃত্তি করতে বেশ কাঠখড়ই পোড়াতে হবে থ্রি লায়নদের। ম্যানচেস্টারের এই ভেন্যুতে ১৯৮১ সালের পর থেকে হারার রেকর্ড নেই অজিদের। ৪ বছর আগে শেষবার এই মাঠে খেলতে নেমে ১৮৫ রানের বিশাল জয়ে সিরিজে ড্র করেছিল সফরকারীরা। ব্যাট হাতে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন স্টিভেন স্মিথ।
অস্ট্রেলিয়ার বড় দুশ্চিন্তার কারণ ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের ফর্ম। চলতি অ্যাশেজের প্রথম ছয় ইনিংসে যার গড় ২৩-এর কিছুটা বেশি। ওয়ার্নারের বিকল্প অবশ্য রয়েছে অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াডে। সেক্ষেত্রে মার্কাস হ্যারিস কিংবা ম্যাট রেনশকে সুযোগ দিতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। সাদা পোশাকে এই দুজনের অভিজ্ঞতা রয়েছে ইনিংস গোড়াপত্তনের।
ম্যানচেস্টার টেস্টের আগে বিশ্রাম কাটিয়ে দলে ফিরেছেন জশ হ্যাজেলউড। স্কট বোল্যান্ডের জায়গায় ফেরানো হয়েছে এই পেসারকে। ৪ বছর আগে এই ভেন্যুতেই ইংলিশদের বিপক্ষে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন হ্যাজেলউড। সে স্মৃতি সঙ্গে করে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত অজি পেসার। হ্যাজেলউড বলেন, ‘আমি খুবই উচ্ছ্বসিত। আমার ধারণা, শেষ ম্যাচে বিশ্রামে থাকায় কিছুটা ভালোবোধ করছি এবং এই ম্যাচের জন্য নিজেকে আরও বেশি প্রস্তুত মনে হচ্ছে। ২০১৯ সালে শেষবার এই মাঠে খেলার দারুণ স্মৃতি রয়েছে। আবারও এখানে এসে ভালো লাগছে।’
হ্যাজেলউডের মতো এক ম্যাচ পর ইংল্যান্ড স্কোয়াডে ফিরেছেন জিমি অ্যান্ডারসন। প্রথম দুই ম্যাচে তার নিস্প্রভ পারফরম্যান্স টিম ম্যানেজমেন্ট বিকল্প চিন্তা করতে বাধ্য করে। যদিও ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলি মনে করেন ৪১ বছর বয়সী এই পেসার ফেরায় আরও শক্তিশালী হয়েছে টিম ইংল্যান্ড।
মঈন বলেন, ‘জিমি ফেরায় দলের শক্তি বেড়েছে, ১০০ পারসেন্ট। সে আমাদের সেরা বোলার এবং বিগত বছরগুলোতেও সেই সেরা ছিল। জিমি আর ব্রড দুর্দান্ত করছে। আমার কাছে মনে হয় জিমি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেও ভালো বল করেছে। কয়েকটি ক্যাচ এবং কিছু জিনিসের জন্যে ভাগ্য ওর সহায় ছিল না। তবে এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, তাকে নিয়ে ইংল্যান্ড দল আরও শক্তিশালী।’