দীর্ঘ ৭ বছর পরে ঘোষণা করা হয়েছে বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের নতুন কমিটি। জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান এবং সাধারণ সম্পাদক কেএম আযম খসরু ২৮ সদস্যের এ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।
মহানগর শ্রমিক লীগের বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাসকে সভাপতি ও কেন্দ্র কর্তৃক সদ্য বিলুপ্ত ঘোষণা করা মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক রইজ আহমেদ মান্নাকে নব-গঠিত কমিটির সাধারন সম্পাদক করা হয়েছে।
ঘোষিত কমিটিতে আবদুল মালেক হাওলাদার, আয়ুব আলী, দুলাল ফরাজি, জালাল জমাদ্দার, কাজী মো. জলিল ও হুমায়ুন কবির মাহিনকে সহ-সভাপতি, মেহেদী হাসান, জাহাঙ্গীর হাওলাদার ও শহিদুল ইসলাম সাইদকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মো. নাসির উদ্দিন, শেখ রিপন, বেল্লাল হোসেন শিশির, মাসুদ হাওলাদার, সিহাবুল হক সিহাব ও মো. ইমরান হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক, সোহাগ হোসাইন মিঠুকে দপ্তর সম্পাদক, ইয়াসিন আরাফাত নাবিলকে সহ-দপ্তর সম্পাদক, মবিনুল ইসলাম রনিকে প্রচার সম্পাদক করা হয়েছে।
এছাড়া আবদুস সালাম, মো. ইউনুচ হাওলাদার, জাকির হোসেন, মো. মোফাজ্জেল হোসেন, আফজাল হোসেন মজুমদার, লতিফ সিকদার লেদু, মো. সুমন সাহা ও রাকিবুল ইসলাম তমালকে সদস্য করা হয়েছে।
অনুমোদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর এবং সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর সুপারিশের ভিত্তিতে এই কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তবে ঘোষিত কমিটিকে এক তরফা মনে করেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম ও বরিশাল সিটির নব-নির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের অনুসারী নেতারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিকলীগ নেতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যারা শ্রমিকলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত তাদের স্থান সদ্য ঘোষিত কমিটিতে হলো না! সিটি নির্বাচনে নৌকার মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা করে যিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন তাকে করা হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক, যা সত্যি আমাদের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ব্যাথিত করেছে। অনতিবিলম্বে আমরা কেন্দ্রের কাছে এই কমিটি প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি।
শ্রমিক নেতা ও বরিশাল সিটির ২৫ নং ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ বলেন, মহানগর শ্রমিক লীগের কমিটি করতে হলে আগে ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের মতামত নেয়া উচিত কিন্তু সেটি না করে ছাত্রলীগ নিয়ে কমিটি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে আমরা বসবো, তারপর সিদ্ধান্ত নিবো কি করা যায় বিষয়টি নিয়ে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শেষ হওয়া বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন সাদিক আবদুল্লাহর চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)। সাদিক আবদুল্লাহ মনোনয়ন বঞ্চিত হলে দীর্ঘদিন বরিশালে কোনঠাসায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ শুরু করেন খোকন সেরনিয়াবাত। পরে খোকন সেরনিয়াবাত ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমকে ঘিরে বরিশাল আওয়ামী লীগে নতুন বলয়ের সৃষ্টি হয়।