রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন
প্রধান সংবাদ :
আগামী ৩ বছরের জন্য বরিশাল মহানগর ইমাম সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন । মুফতি ফয়জুল করীম কে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঘোষণার দাবিতে নগরীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। বরিশাল সিটি নির্বাচনে জালিয়াতিপূর্ণ ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে হাতপাখার প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণার দাবীতে মামলা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বরিশাল নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম , বরিশাল সিটি মেয়র হিসেবে ঘোষণা চান তিনি । ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে কিছু পণ্যে আমদানি নিষেধাজ্ঞা জারি করলো এনবিআর ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ভান্ডারিয়াগামী যাত্রীবাহী সাকুরা পরিবহন বাস খাদে পড়ে ১৩ যাত্রী গুরুতর আহত বাংলা শুভ নববর্ষ , উদ্যাপন উপলক্ষে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা কাশিপুর বাজারে বাস ট্রাক সংঘর্ষে ট্রাকের ড্রাইভার আহত। বরিশালে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখ ও নববর্ষ উদযাপন। বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং লোকজ মেলা

অলংকার কেনাবেচায় যে নির্দেশনা দিলো বাজুস

সেজাদ আহমেদ, একুশে বিডি
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩
  • ৮০ জন নিউজটি পড়েছেন

স্বর্ণের অলংকার। ছবি: সংগৃহীত

অলংকার কেনাবেচা ও বিপণনে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

সম্প্রতি বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, সোনা, রুপা কিংবা ডায়মন্ডের অলংকার ক্রয় ও বিক্রি সহজ করার লক্ষ্যে ‘ক্রয়-বিক্রি ও বিপণন নির্দেশিকা-২০২৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের বেশকিছু বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

স্বর্ণের অলংকার

১) স্বর্ণ নীতিমালা (২০১৮) ও সংশোধিত স্বর্ণ নীতিমালা (২০২১) মোতাবেক স্বর্ণের মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হলমার্ক পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাই এ বিধান মেনে হলমার্ক নিশ্চিত করে গহনা বিক্রি, বিপণন, প্রস্তুত ও সরবরাহ করতে হবে।

২) নিম্নমানের গহনা প্রস্তুত, বিপণন ও বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কোনো কারিগর বা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এ ধরনের কাজে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে, তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৩) ক্যাডমিয়াম পাইনের নামে নিম্নমানের কোনো গহনা প্রস্তুত, বিপণন ও বিক্রি করা যাবে না। জুয়েলারি ব্যবসার সুনাম ও ঐতিহ্য রক্ষার্থে এ ধরনের প্রতারণামূলক কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৪) এ ছাড়া পাইন ঝালার কোনো অলংকার প্রস্তুত, বিপণন ও বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতির অলংকার শুধু ক্রেতাসাধারণের কাছ থেকে ক্রয় করা যাবে।

৫) সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশে সোনার ৪টি মান রয়েছে, যথাক্রমে ১৮, ২১, ২২ ও ২৪ (৯৯ দশমিক ৫) ক্যারেট। এই মানের বাইরে কোনো সোনা বা সোনার অলংকার বিক্রি করা যাবে না। এখানে উল্লেখ্য, তেজাবি স্বর্ণের ক্ষেত্রে বিশুদ্ধতা কোনো অবস্থায়ই ৯৯ দশমিক ৫-এর নিচে গ্রহণযোগ্য নয়। এ ক্ষেত্রে সকল হলমার্কিং কোম্পানিকে উক্ত নীতিমালা অনুযায়ী স্বর্ণ পরীক্ষা করতে হবে। স্বর্ণ বা স্বর্ণের অলংকারের গায়ে হাতে লেখা ক্যারেট সিল গ্রহণযোগ্য নয়।

৬) স্বর্ণের অলংকার এক্সচেঞ্জ বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ও পারচেজ বা ক্রেতার নিকট থেকে ক্রয়ের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ বাদ দিতে হবে। এ ছাড়া স্বর্ণের অলংকার বিক্রির সময় ক্রেতাসাধারণের কাছ থেকে গ্রামপ্রতি কমপক্ষে বা ন্যূনতম ৩০০ টাকা মজুরি গ্রহণ করতে হবে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান এ সিদ্ধান্ত অমান্য করে তাহলে কমপক্ষে বা ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।

৭) নিয়মানুযায়ী ক্রেতাসাধারণের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত হারে ভ্যাট সংগ্রহ করে সরকারি কোষাগারে নিজ দায়িত্বে জমা করতে হবে। যদি কেউ এই নিয়ম অমান্য করে ভ্যাট ফাঁকি দেয় এবং ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়, তাহলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা না করে বরং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

৮) অর্ডারকৃত অলংকার প্রস্তুতের ক্ষেত্রে অথবা বুকিংকৃত অলংকার সরবরাহের ক্ষেত্রে যেদিন অর্ডার বা বুকিং দেয়া হবে, সেদিনের বাজার মূল্য কার্যকর হবে। অর্ডার সরবরাহ বা গ্রহণের সময়সীমা সর্বোচ্চ এক মাস হবে। এক মাস পার হলে অর্ডারটি বাতিল বলে গণ্য হবে। এ ক্ষেত্রে বায়না, অগ্রিম হিসেবে প্রদত্ত টাকা বা স্বর্ণ থেকে ১০ শতাংশ বাদ দিয়ে ক্রেতাসাধারণকে বাকি টাকা বা স্বর্ণ ফেরত দিতে হবে।

৯) ক্রেতা সাধারণকে আকৃষ্ট করার জন্য স্বর্ণের অলংকার বিক্রির সময় কোনো প্রকার প্রলোভনমূলক উপহার প্রদান বা মূল্যছাড়, মজুরি ছাড় বা ভ্যাট ছাড় দেয়া যাবে না।

১০) বাজুস কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম বা বেশি মূল্যে স্বর্ণ বা রুপার গহনা বিক্রি করা যাবে না। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান এর ব্যত্যয় ঘটালে আর্থিক জরিমানাসহ প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পুরাতন স্বর্ণ ক্রয়ের ক্ষেত্রে নির্দেশনা

১) পুরাতন স্বর্ণ ক্রয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিক্রেতাকে পারচেজ রসিদ প্রদান করতে হবে।

২) জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের পারচেজ রসিদে বিক্রেতার যাবতীয় তথ্যাদি যেম:, নাম-ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে।

৩) বিক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি থেকে নিজ দায়িত্বে উভয় পাশের ফটোকপি রাখতে হবে। মূল মালিক ব্যতীত কোনো প্রতিনিধির কাছ থেকে অলংকার ক্রয় করা যাবে না।

ব্যাগেজ রুলের আওতায় আনা স্বর্ণ এবং অলংকার ক্রয় সংক্রান্ত নির্দেশনা

১) বিক্রেতার পাসপোর্টের মূলকপি থেকে নিজ দায়িত্বে ফটোকপি করে রাখতে হবে।

২) বিক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি থেকে নিজ দায়িত্বে উভয় পাশের ফটোকপি রাখতে হবে।

৩) প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে স্বর্ণ ক্রয় করতে হবে।

৪) এয়ারপোর্টে ডিক্লেয়ারেশন বা ট্যাক্সের আওতায় থাকলে ট্যাক্স প্রদানের ডকুমেন্ট (মূল কপি) সংরক্ষণ করতে হবে।

ডায়মন্ডের অলংকার ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত নির্দেশনা

১) ১ থেকে ৫০ সেন্টের মধ্যে সকল ডায়মন্ডের গহনার ক্ষেত্রে কালার ও ক্ল্যারিটি সর্বনিম্ন মানদণ্ড হবে (আইজে) ও (এসআই-টু)। ৫০ সেন্টের উপরে সকল ডায়মন্ডের গহনার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।

২) ডায়মন্ডের গহনায় স্বর্ণের সর্বনিম্ন মানদণ্ড ১৮ ক্যারেট। অর্থাৎ, ডায়মন্ডের গহনায় ১৮ ক্যারেটের নিচের মানের স্বর্ণ ব্যবহার করা যাবে না।

৩) ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রয়ের সময় বাধ্যতামূলক ক্যাশমেমোতে গুণগত মান নির্দেশক ৪সি (কালার, ক্ল্যারিটি, কাট ও ক্যারেট) উল্লেখ করতে হবে।

আরও পড়ুন: প্রসাধনী-অলঙ্কার কিনতে ব্যস্ত ক্রেতারা

৪) ডায়মন্ডের অলংকার এক্সচেঞ্জ বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ও পারচেজ বা ক্রেতার কাছ থেকে ক্রয়ের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ বাদ দিতে হবে।

৫) ক্রেতা আকৃষ্ট করতে প্রলোভনমূলক উপহার বা অফার প্রদান করা যাবে না। নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ বাতিল এবং কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৬) কোন প্রতিষ্ঠান নকল ডায়মন্ড (মেসোনাইট, সিভিডি, ল্যাব মেইড, ল্যাব বর্ন ইত্যাদি) বিক্রি করলে ওই প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ বাতিল এবং কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ডায়মন্ডের গহনার মান নিশ্চিতকরণে মানসম্পন্ন ডায়মন্ড ল্যাবের সনদ থাকতে হবে।

৭) ডায়মন্ড অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শতাংশ ডিসকাউন্ট প্রদান করা যাবে। এ নিয়ম অমান্য করা হলে ৫ লাখ টাকা জরিমানাসহ বিধি মোতাবেক সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা।

রুপার অলংকার ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত নির্দেশনা

১) ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে স্বর্ণের অলংকারের মতো রুপার অলংকারেও বাধ্যতামূলক হলমার্ক থাকতে হবে।

২) বিক্রির ক্ষেত্রে ক্যাশমেমোতে অবশ্যই ক্যারেট ও ওজন উল্লেখ থাকতে হবে। তবে মেশিন মেইড আমদানিকৃত রুপার অলংকারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী অলংকারের মান নিশ্চিত করতে বাধ্য থাকবে।

৩) রুপার অলংকার এক্সচেঞ্জ বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ ও পারচেজ বা ক্রেতার কাছ থেকে ক্রয়ের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ বাদ দিতে হবে।

৪) ভোক্তা অধিকার ও প্রতারণা রোধে রুপার অলংকারের ডিসপ্লেতে কোনো ক্রমেই ইমিটেশন, মেটাল, গোল্ড প্লেটকৃত জুয়েলারি রাখা যাবে না। ইমিটেশন, মেটাল, গোল্ড প্লেটকৃত জুয়েলারি আলাদা ডিসপ্লেতে রাখতে হবে।

৫) কোনো জুয়েলারি ব্যবসায়ী বা বাজুস সদস্য ক্রেতার কাছে ইমিটেশন, মেটাল, গোল্ড প্লেটকৃত অলংকার রুপার অলংকার বলে বিক্রি করলে সদস্যপদ বাতিলসহ প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা।

৬) সারা দেশে রুপার ৪টি মান নির্ধারণ করা হয়েছে, যথাক্রমে ১৮, ২১, ২২ (ক্যারেট ক্যাডমিয়াম) ও সনাতন (সনাতনে ১০ আনা জমা থাকতে হবে)। এই মানের বাইরে কোনো রুপা অলংকার বিক্রয় করা যাবে না। রুপার অলংকার বিক্রয়ের সময় ক্রেতাসাধারণের কাছে গ্রামপ্রতি ২৬ টাকা মজুরি গ্রহণ করা যাবে।

সরকারি আইন ও নির্দেশনা

১) সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করে জুয়েলারি ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে এবং বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে।

২) ১৯৮৭-এর আওতায় জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে ডিলিং লাইসেন্স গ্রহণ করে বৈধভাবে জুয়েলারি ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে এবং বছরের নির্দিষ্ট সময়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ডিলিং লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে।

৩) সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রত্যেক জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক ভ্যাট নিবন্ধন থাকতে হবে। তাই ভ্যাট নিবন্ধন করে নিবন্ধন সনদ (বিআইএন) প্রতিষ্ঠান বা শোরুমের ভেতরে প্রদর্শন করতে হবে।

৪) সরকারি নিয়মানুযায়ী, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের নামে টিআইএন সনদ থাকা ও শোরুমের দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শনও করতে হবে।

৫) ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত ও আইনি ঝামেলা এড়াতে নিজ দায়িত্বে বিএসটিআই থেকে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ওজন পরিমাপক যন্ত্র পরীক্ষা করে স্টিকার ও সার্টিফিকেট গ্রহণ করা।

৬) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঝুঁকি প্রতিরোধে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে মূল্যবান ধাতু এবং মূল্যবান পাথরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে আখ্যায়িত করেছে। এ জন্য কোনো গ্রাহক মূল্যবান ধাতু ও পাথর ক্রয়-বিক্রয়ের সময় ১০ লাখ টাকা বা তদূর্ধ্ব পরিমাণ নগদ টাকার লেনদেন করে তাহলে বিএফআইইউ বরাবর গ্রাহকের লেনদেন সম্পর্কিত রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।

বাজুসের নির্দেশনা

১) বাজুসের নিয়মানুযায়ী সদস্যভুক্ত সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক বাজুসের স্টিকার ও হালনাগাদ সনদপত্র শোরুমের ভেতরে দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।

২) বাজুসের সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানে স্টিকার, সনদপত্র ও আইডি কার্ড প্রদান করা হচ্ছে। এ বাবদ ঢাকা মহানগরের জুয়েলারী প্রতিষ্ঠানে ফি ধার্য করা হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৫০০ টাকা। উল্লেখ্য, জেলা ও উপজেলা শাখায় রসিদের মাধ্যমে ৫০০ টাকা জমা রাখবেন এবং বাকি ১ হাজার টাকা বাজুস কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রদান করে রসিদ সংগ্রহ করবেন।

৩) বাজুসের ভর্তি ফি ঢাকা মহানগরের আওতাধীন জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা ও ঢাকা মহানগর ব্যতীত সারা দেশের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

৪) কোনো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে মিল রেখে সাদৃশ্যপূর্ণ নাম বা নামের পূর্বে-পরে নিউ, দি বা অন্য কিছু বা বিদেশি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের নাম সংযুক্ত করে নতুন কোনো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা যাবে না। কোনো জুয়েলারি ব্যবসায়ী যদি এ নিয়ম অমান্য করে প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করে, তাহলে তার প্রতিষ্ঠানকে বাজুসের সদস্যভুক্ত করা হবে না।

৫) নতুন প্রতিষ্ঠানের নামকরণের পূর্বে বাজুসের নিকট থেকে নামের ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে।

৬) কোনো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান যদি অন্য কোনো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে নিয়োগ দিতে চান, তাহলে ওই কর্মকর্তা বা কর্মচারীর পূর্ববর্তী দোকানের ছাড়পত্র (অনাপত্তি পত্র) প্রাপ্তি সাপেক্ষে নিয়োগ প্রদান করবেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৭) সোনার অলংকার পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের চালানের কপি বাধ্যতামূলকভাবে বহনকারীর সঙ্গে রাখতে হবে। উল্লেখ্য চালানে বহনকারীর নাম, মোবাইল নম্বর, সোনার ওজন, সংখ্যা ও গন্তব্য অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে এবং বহনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে থাকতে হবে।

৮) ব্যবসায়িক সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে বাজুস প্রণীত উল্লিখিত বিধিবিধান ও সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করে যথাযথভাবে ব্যবসাকার্য পরিচালনা করার অনুরোধ করা হলো।

৯) অলংকার ক্রয়-বিক্রি ও বিপণন নির্দেশিকা-২০২৩ অমান্যকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহকে অবহিত করা হবে।

একুশে বিডি ডটকম এর জন্য সারাদেশে সংবাদ দাতা নিয়োগ চলছে
যোগাযোগঃ- 01773411136,01778927878 ekusheybd2021@gmail.com

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন

Salat Times

    Dhaka, Bangladesh
    Sunday, 20th April, 2025
    SalatTime
    Fajr4:15 AM
    Sunrise5:33 AM
    Zuhr11:57 AM
    Asr3:24 PM
    Magrib6:22 PM
    Isha7:41 PM
© All rights reserved © 2019 ekusheybd.com
Theme Customized BY mrhostbd.com
themesba-lates1749691102