অবকাঠামো উন্নয়ন, ডাক্তার, জনবলসহ ২৫০ শয্যা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর দাবিতে চলমান আমরণ অনশন স্থগিত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন ও তত্ত্বাবধায়ক দুই মাসের মধ্যে সদর হাসপাতালের সব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে এ অনশন স্থগিত করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে আমরণ অনশন স্থগিত করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ২৫০ শয্যার জন্য ভবন নির্মাণ করা হলেও পূর্ণাঙ্গরূপে কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, ডাক্তার, জনবলসহ পূর্ণাঙ্গরূপে ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি চালুর দাবিতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা আমরণ অনশন শুরু করেছিল মঙ্গলবার (১৮ জুলাই)।
বৃহস্পতিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরে আমরণ অনশন স্থলে আসেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক ডা. আতাউর রহমান মুন্সি।
পরে অনশন পালনকারীদের ফলের জুস খাইয়ে অনশন ভাঙান জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জন।
এ সময় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক গরিব রুহানি মাসুম বলনে, চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। ভাল চিকিৎসা পাওয়ার আশায় এসে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়। ২৫০ শয্যা দ্রুত সময়ে চালু করতে হবে। দুই মাসের মধ্যে আমাদের দাবি না মানা হলে আবারও অনশন কর্মসূচি দেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ে ছাড়ের অপেক্ষায় আছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।