পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আদালতের ১৪৫ ধারা অমান্য
করে সংখ্যালঘুর জমি দখল
চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আজগর হাওলাদার নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গত বুধবার গভীর রাতে টিয়াখালী ইউনিয়নে পশ্চিম বাদুরতলী গ্রামের জে.এল ৬ খেপুপাড়া মৌজার ৩০৫ নং খতিয়ানের জমিতে আইল দিয়ে তিনি দখলে
নেয়ার চেষ্টা করেন। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন জমির মালিক সাধনা রানীর স্বামী সন্তোষ কুমার হাওলাদার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্তোষ কুমার ২০১০ সালের ৫ মে জে.এল ৬ খেপুপাড়া মৌজার এস.এ ৩০৫ নং খতিয়ানের ১.৫৬২৫ একর জমি ৩০৭০ নং সাব কবলা দলিল মূলে স্ত্রী সাধনা রানীর নামে ক্রয় করেন। প্রায় ১৩ বছর ধরে
নিজে চাষাবাদ করে কিংবা একসনা লাগাইয়া ওই জমি ভোগ দখল করে আসছেন তিনি। কিন্তু গত ৩ জুলাই আজগর আলী হাং ভূয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে ওই জমিতে পিলার পুতে দখলের চেষ্টা করে। এসময় সন্তোষ কুমার বাঁধা দিলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং প্রান নাশের হুমকি দেয়। কোন উপয়ান্ত না পেয়ে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এঘটনায় গত ৫ জুলাই মোকাম কলাপাড়া বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন সন্তোষ কুমার। কলাপাড়া বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে ১৪৫ ধারা মতে আজগর আলী হাওলাদারকে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। এছাড়া
আইন শৃংখলা রক্ষার্থে ওসিকে আদেশ দেয়া হয় এবং আগামী ৯ আগষ্টের মধ্যে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। কিন্তু আজগর আলী হাওলাদার আদালতের ১৪৫ ধারা অমান্য করে বুধবার গভীর রাতে ওই জমির মাটি ক্ষতি করে এবং আইল দিয়ে দখলের চেষ্টা
করে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সন্তোষ কুমার ঘুরছেন প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে।
সন্তোষ কুমার জানান, ২০১০ সালে আজগর আলী হাওলাদার আমার স্ত্রীর নামে এই ক্রয় করিয়ে দেয়। কিন্তু এখন সে নিজেই আমার জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। বর্তমানে সে আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আজগর একজন প্রতারক ও ভমিদস্যু। আমি সংখ্যালঘু বলে অসহায়ের মতো ঘুরছি। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনায় প্রতিকার চাই।
এ বিষয়ে আজগর আলী হাওলাদারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মেদ জানান, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।