রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ১১:২১ অপরাহ্ন
প্রধান সংবাদ :
অভিযাত্রা যুব কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে, ঈদ বাজার সামগ্রী বিতরণ। বাবুগঞ্জ থানায় নতুন ওসি মো: জহিরুল ইসলাম যোগদান করেন। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকুন: চরমোনাই পীর শনিবার খোলা থাকছে সব সরকারি অফিস জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের পথে যেকোনো বাধাই মোকাবিলা করবো: নাহিদ ইসলাম বরিশালে বিটিসিএলের ৬৭ শতাংশ বিল বকেয়া সরকারি অফিসে দক্ষিণ রাকুদিয়া বাবুগঞ্জে শাজাহান ফকিড়ের দোকানের দরজার দুইটা তালা ভেঙ্গে মালামাল চুরি করেন চোর চক্র  খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মীরগঞ্জ মুলাদি সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। রাকুদিয়া নতুন হাটে মুদি দোকানে চুরি কাশ্মীর হামলার পর চরম উত্তেজনা: ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েন

তিনি ভারতের প্রথম বিলিয়নিয়ার, ছিল ব্যক্তিগত বিমান ও ৫০টি রোলস রয়েস

শাহ নেওয়াজ। একুশে বিডি
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০২৩
  • ৭৬ জন নিউজটি পড়েছেন

স্যার মীর ওসমান আলি খান সিদ্দিকি। ছবি: সংগৃহীত

বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের নিয়ে ব্যাপক মাতামাতি দেখা যায়। মূলধারার গণমাধ্যমগুলোতে প্রায়ই শিরোনাম হন ধনী ব্যবসায়ীরা। কার কত সম্পদ ও টাকা-পয়সা, এগুলোই সেসব আলাপের প্রধান বিষয়।

বিশ্বের বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের আলোচনায় প্রায়ই উঠে আসে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কথা। এক্ষেত্রে গৌতম আদানি, বিড়লা, মুকেশ আম্বানি, রতন টাটা ও শিব নাদরের মতো ধনী ব্যবসায়ীদের নামই বেশি শোনা যায়।

যদি প্রশ্ন করা হয়, ভারতের প্রথম বিলিয়নিয়ার কে? অনেকেই হয়তো উপরের নামগুলোই উল্লেখ করবেন। কিন্তু না, এদের কেউই ভারতের প্রথম বিলিয়নিয়ার নন। ইতিহাসের পাতা উল্টিয়ে এখন থেকে মাত্র ৮০ বছর পেছনে গেলেই মিলবে তার পরিচয়।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, তিনি কোনো ব্যবসায়ী ছিলেন না। ছিলেন প্রশাসক। সেই সময় বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিটিকেও টেক্কা দিতে পারতেন তিনি। এতই ধনী ছিলেন যে, তার অন্তত ৫০টি রোলস রয়েস গাড়ি ছিল। চড়তেন ব্যক্তিগত বিমানে। টেবিলের ওপর পত্রিকা চাপা দেয়ার জন্য যে পেপারওয়েট ব্যবহার করতেন সেটা ছিল একখণ্ড হিরা। বর্তমান বাজার অনুযায়ী যার দাম ছিল ১০০০ কোটি রুপি!

ভারতের সেই বিলিয়নিয়ার আর কেউ নন, তিনি হলেন হায়দরাবাদের ‘নিজাম’ স্যার মীর ওসমান আলি খান সিদ্দিকি। সত্যিই তার সম্পদের পরিমাণ অবাক করার মতোই।

বর্তমান বাজারের হিসাবে তার প্রায় ২৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ ছিল। অর্থাৎ আজকের টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক, ফরাসি ধনকুবের বার্নার্ড আর্নল্ট ও মার্কিন বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোসদের মতো ধনীদের সমান সম্পদ ছিল তার।

যেভাবে ভারতের প্রথম বিলিয়নিয়ার

ভারত সবসময়ই ছিল ধন-সম্পদে পূর্ণ। এক সময় দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাধীন রাজারা রাজত্ব করতেন। এমনকি ব্রিটিশ শাসনামলেও এমন অনেক রাজ্য ছিল যেগুলো ইংরেজরা দখল করতে পারেনি। ভারতের স্বাধীনতার সময়কাল পর্যন্ত সেগুলো স্বাধীনই ছিল। আর এই রাজ্যগুলোর বেশিরভাগই ছিল মুসলিমদের শাসনাধীন।

হায়দরাবাদ ছিল তেমনই একটি স্বাধীন রাজ্য। ১৫৯০ সালে গোলকুণ্ডার শাসক কুলি কুতুব শাহ হায়দরাবাদ নগরী প্রতিষ্ঠা করেন। তবে এটি স্বাধীন রাজ্য হিসাবে প্রতিষ্ঠা পায় আরও ১৩০ বছর পর। মোগল সাম্রাজ্যের পতনের পরে ১৭২৪ সালে আসফ জাহ হায়দরাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। আসফ জাহ’র উপাধি ছিল নিজাম উল-মুলক। সংক্ষেপে নিজাম।

ব্রিটিশ শাসনামলে হায়দরাবাদ রাজ্যটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গভর্নর জেনারেল আর্থার ওয়েলেসলি ঘোষিত অধীনতামূলক মিত্রতার আওতায় ব্রিটিশ আশ্রিত রাজ্যের মর্যাদায় টিকে থাকে। এর আয়তন ছিল ৮৬ হাজার বর্গমাইল বা ২ লাখ ২৩ হাজার কিলোমিটার। যা বর্তমান যুক্তরাজ্যের সমান। জনসংখ্যা ছিল ১ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার।

হায়দরাবাদের শাসককে ভারতে সবচেয়ে উচু মর্যাদা সম্পন্ন রাজন্য হিসেবে গণ্য করা হত। এই রাজ্যের সপ্তম ও শেষ নিজাম বা শাসক ছিলেন মীর ওসমান আলি খান সিদ্দিকি। ১৯১১ সালে বাবা রাজ্যের ষষ্ঠ নিজাম মেহবুব আলি খানের মৃত্যুর পর মাত্র ২৫ বছর বয়সে সপ্তম নিজাম হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। এরপর ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত একটানা ৩৭ বছর রাজ্য শাসন করেন।

উত্তরাধিকার সূত্রে মীর ওসমান আলি খান বিপুল সম্পদের মালিক হন। ১৮ শতকে বিশ্ববাজারেরর অন্যতম বৃহৎ হীরা সরবরাহকারী ছিল হায়দরাবাদ। রাজ্যের গোলকোন্ডার একটি হীরার খনি থেকে এসব হীরা উত্তোলন করা হতো। আর এই হীরার খনিই ছিল নিজামের সম্পদের প্রধান উৎস।

মীর ওসমান আলি খানের ছিল স্বর্ণের বিশাল মজুদ। যার পরিমাণ ছিল ১০ কোটি পাউন্ড। এছাড়া ৪০ কোটি পাউন্ডের অন্যান্য রত্ন। তার কাছে ২৪২ ক্যারেটের একটি হীরা ছিল। যা তিনি পেপারওয়েট হিসেবে ব্যবহার করতেন।

‘জ্যাকব ডায়মন্ড’ নামের ওই হীরাটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরাগুলোর অন্যতম। যারা ওই হীরা দেখেছেন, তাদের মতে হীরাটি একটা লেবুর আকৃতির ছিল। বর্তমান বাজার হিসেবে যার দাম প্রায় ১ হাজার কোটি রুপি।

১৯৪৭ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বিয়েতে ৩শ’ হীরা খচিত একটি নেকলেস উপহার দিয়েছিলেন মীর ওসমান আলি খান। ব্যক্তিগত বিমানের পাশাপাশি ৫০টি রোলস রয়েস গাড়ির মালিক ছিলেন মীর ওসমান আলি খান। বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী যার প্রতিটির দাম ৮ কোটি টাকার বেশি।

সেই সময় অর্থাৎ ১৯৩০-এর দশকে মীর ওসমান আলি খানকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনী বিবেচনা করা হত। মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের ১৯৩৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় তাকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে ধনী’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।

এক হিসাবে, ১৯৪০-এর দশকে তার ১ হাজার ৭০০ কোটি রুপির সম্পদ ছিল। যা বর্তমান বাজারের হিসেবে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৭৭০ কোটি রুপি বা ২৩৬ বিলিয়ন ডলারের সমান। সেদিক থেকে মীর ওসমান আলি খানই ভারতের প্রথম বিলিয়নিয়ার।

একুশে বিডি ডটকম এর জন্য সারাদেশে সংবাদ দাতা নিয়োগ চলছে
যোগাযোগঃ- 01773411136,01778927878 ekusheybd2021@gmail.com

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন

Salat Times

    Dhaka, Bangladesh
    Sunday, 8th June, 2025
    SalatTime
    Fajr3:44 AM
    Sunrise5:11 AM
    Zuhr11:57 AM
    Asr3:16 PM
    Magrib6:44 PM
    Isha8:11 PM
© All rights reserved © 2019 ekusheybd.com
Theme Customized BY mrhostbd.com
themesba-lates1749691102