পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার কাজ চলছে। ছবি একুশে বিডি।
ঝালকাঠিতে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে নারী ও শিশুসহ ১৭ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৩৪ জন। তাদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাসটির ভেতরে এবং ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা হয়েছিলো বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
শনিবার (২২ জুলাই) সকালে বাসার স্মৃতি পরিবহন নামের যাত্রীবাহী বাসটি ভান্ডারিয়া থেকে বরিশাল যাচ্ছিলো। এ সময় সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেন, ছাদে ও ভেতরে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে বাসটি চাকা ফেটে পুকুরে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নারী ও শিশুসহ ১৩ জন নিহত হন। আহত হন ৩৪ জন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঁচজনকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ছাদে এবং ভেতরে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন এক যাত্রী। তিনি বলেন, ‘ভান্ডারিয়া থেকে বরিশালের উদ্দেশে বাসটিতে যাচ্ছিলাম। গাড়ির ভেতরে ও ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।’
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠি সহকারী পুলিশ সুপার মইনুল ইসলাম। তিনি বলেন, যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। এখন পর্যন্ত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৮ জন নারী, ৬ জন পুরুষ ও ৩ জন শিশু।
নিহতদের শনাক্ত ও ডাক্তারি পরীক্ষার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।