মারুফা আক্তার। ছবি: ক্রিকইনফো
ধারাবাহিকতা ধরে রাখলে মারুফা আখতারই বদলে দিতে পারেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের চেহারা। অষ্টাদশী এই পেসারকে দেখে অনুপ্রেরণা খোঁজে ভারতীয় ক্রিকেটাররাও। মারুফাকে এভাবেই প্রশংসায় ভাসালেন নারী ক্রিকেটের সেনসেশন স্মৃতি মান্ধানা। স্মৃতি মনে করেন, ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার পেস বান্ধব উইকেটে খেলার সুযোগ পেলে আরো ভালো করার যোগ্যতা রয়েছে মারুফার।
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচের শেষে মারুফাকে আলাদা করে অভিনন্দন জানাতে ছুটে এসেছিলেন নারী ক্রিকেটের সেনসেশন স্মৃতি মান্ধানা। অষ্টাদশী এই মেয়েই নাকি অনুপ্রেরণার নাম ভারতীয় ক্রিকেটারদের কাছে।
মারুফাকে নিয়ে এরপর সংবাদ সম্মেলনে স্মৃতি বলেন, ‘ওর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। ওকে বলেছি, ওর বয়স যাই হোক না কেন, ওর প্রচেষ্টা আমাদেরকেও অনুপ্রাণিত করে। মাঠে ও যেভাবে এফোর্ট দেয় তা অসাধারণ।’
গোটা সিরিজ জুড়েই ভারতের তারকাখচিত ব্যাটিং লাইন আপকে ভুগিয়েছেন মারুফা। মিরপুরের প্রথম ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে ইতিহাস গড়া জয়ে রেকর্ডও গড়েন। ২৯ রান খরচায় ৪ উইকেট- বাংলাদেশি ফাস্ট বোলার হিসেবে নারী ক্রিকেটের সেরা বোলিং ফিগার। স্মৃতির মতে, মারুফার বোলিং অ্যাকশনই তাকে আলাদা করেছে অন্যদের চেয়ে।
স্মৃতির ভাষায়, ‘আমার ধারণা তার বোলিং অ্যাকশনটা খুবই বৈচিত্রময় এবং এমন বোলিং অ্যাকশনের জন্যে আমরা যেমন ভাবি তার চেয়েও বেশি গতিতে বল করতে পারেন। বলের রিলিজ পয়েন্ট দেখে যেটা ভাবি তার চেয়ে বেশি স্কিড করে। ও খুব ভালো ক্রিকেটার।’
স্লো আর মন্থর গতির উইকেট হিসেবে মিরপুর বরাবরই কুখ্যাত। যেখানে বিশ্বসেরা পেসাররাও হয়ে পড়েন অসহায়। স্পিনারদের স্বর্গখ্যাত সেই হোম অব ক্রিকেটেই আগুন ঝরাচ্ছেন মারুফা। পেসবান্ধব উইকেটে এই পেসার আরো ভালো করবেন বলে মনে করেন স্মৃতি।
তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত বাংলাদেশ দলের জন্য দারুণ একজন ক্রিকেটার হতে যাচ্ছে ও। যেমনটা বললাম, ধারণার চেয়ে বেশি গতিতে বল আসায় ওর বল খেলতে আরো বেশি প্রস্তুত থাকতে হয়। যদিও এধরনের উইকেটে ও খুব বেশি সাহায্য পাচ্ছে না। তবে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ও কি করে, সেটা দেখার মতো হবে।’
১৮ বছর বয়সী মারুফার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার মাত্র ৫ ওয়ানডে আর সমানসংখ্যক টি-টোয়েন্টির। বয়সভিত্তিক দলের পর মূল দলে এসেও যেভাবে আলো ছড়াচ্ছেন, তাতে দেশের নারী ক্রিকেট নতুন করে স্বপ্ন বুনছে এই পেসারকে ঘিরে।