বিপিও সামিট ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি একুশে বিডি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) বিকাশ ঘটলেও মানুষের প্রয়োজনীয়তা বিলীন হয়ে যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
শনিবার (২২ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বিপিও সামিট ২০২৩’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
স্পিকার বলেন, ‘আইটি খাতে অগ্রগতির জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে সরকার। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আজ বিশ্বব্যাপী অনেক আলোচিত একটি বিষয় এবং বাস্তবতা। আমাদের নিজেদের জীবনে আজ তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব দেখতে পাচ্ছি, সেটা গত ১০ বছর আগেও এতটা ছিল না।’
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষই তৈরি করেছে উল্লেখ করে শিরীন শারমিন বলেন,
কৃত্রিম বুদ্ধির পেছনে একজন মানুষের বুদ্ধিই কাজ করছে। কাজেই মানুষের প্রয়োজনীয়তা কোনোদিনই বিলীন হয়ে যাবে না।
তবে বর্তমানে প্রযুক্তি যে অবস্থায় আছে, সেটি থেকে কারো বিচ্ছিন্ন থাকার উপায় নেই বলেও জানান শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নানাভাবে আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করছে। আগামী দিনেও করবে।’
তিনি আরও বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে মানুষের কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার শঙ্কার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এটি যে কাজগুলো করবে, সেই কাজগুলোতে মানবসম্পদকেও প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
স্পিকার বলেন, ‘কৃষিক্ষেত্রে এখন ধান কাটার জন্য লোক পাওয়া যায় না। সেই জায়গায় প্রযুক্তি চলে এসেছে। মেশিনের মাধ্যমে ধান কাটার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।’
আবার অনেক ক্ষেত্রে জনবল থাকলেও প্রযুক্তি তাদের কাজ নিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে শিরীন শারমিন বলেন,
এ ক্ষেত্রে সেই জনবলকে অন্য কাজে শিফট করাতে হবে এবং দক্ষতা দিয়ে সাজাতে হবে। প্রযুক্তি হচ্ছে একটি বিকাশমান খাত, এটি এক মুহূর্তও থেমে থাকবে না।
এ ছাড়া দেশের তৈরি পোশাক ও ঔষধ খাতসহ অন্যান্য খাতের পাশাপাশি আইটি খাতও সম্ভাবনাময় বলে জানিয়েছেন শিরীন শারমিন চৌধুরী।
উল্লেখ্য, দেশের আইটি খাতের ব্যবসায়ীদের অন্যতম সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এবং বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের (বিপিসি) যৌথ উদ্যোগে ঢাকায় ২২ ও ২৩ জুলাই দুই দিনব্যাপী আয়োজিত হচ্ছে ‘বিপিও সামিট ২০২৩’।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ।