বগুড়ার ধুনট থানা। ছবি একুশে বিডি।
বগুড়া ধুনট উপজেলায় অনৈতিক কাজ করতে রাজি না হওয়ায় মর্জিনা খাতুন (৩৫) নামে এক নারীকে খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর ওই নারীর মাকে আটক করা হলেও তার ছেলে রাব্বি ও পুত্রবধূ নুপুর নিরুদ্দেশ রয়েছেন।
শনিবার (২২ জুলাই) দুপুর দেড়টায় ধুনট উপজেলার চান্দারপাড়ায় ভিকটিমের নিজ শয়নকক্ষের মেঝে খুঁড়ে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মর্জিনা খাতুন ওই গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের মেয়ে।
এদিকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ নিহত মর্জিনার মা রওশন আরা বেগমকে (৫৫) আটক করেছে।
স্থানীয়রা জানান, স্বামী পরিত্যক্তা হওয়ার পর ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি শুরু করেন মর্জিনা। ছুটিতে এলে মা রওশন আরা, ছেলে রাব্বি ইসলাম ও ছেলে বউ নুপুর খাতুনের ধুনটের চান্দারপাড়ায় এই টিনের ঘরেই থাকতেন মর্জিনা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করায় প্রায়ই মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হতো ওই তরুণীর। এর আগেও মারধর করে গুরুতর আহত করা হয় মর্জিনা খাতুনকে। ঈদের ছুটিতে এসে ৩০ জুন থেকে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হোন মর্জিনা। পরদিন ঘরে তালা লাগিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় মা রওশন আরা, ছেলে রাব্বি ও পুত্রবধূ নুপুর। এতে করে সন্দেহের সৃষ্টি হয় এলাকাবাসীর। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পুলিশকে বিষয়টি অবগত করার পর বিষয়টি তদন্তে নামে পুলিশ। অবশেষে ২৩ দিন পর শনিবার দুপুর দেড়টা ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার পর নিহতের ছেলে রাব্বি ইসলাম ও ছেলে বউ নুপুর খাতুন পলাতক রয়েছেন। মর্জিনার মা রওশন আরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হই। এরপর থেকে আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করি। ভিকটিমের মাকে নিয়ে তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে শোয়ার ঘরের একটি জায়গায় মাটি আলগা থাকতে দেখে সন্দেহ হয়। পরে স্থানটি খনন করে ভিকটিমের মরদেহ উদ্ধার করি। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।