বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আসামি ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন (লালবৃত্তে মার্ক করা) ও গ্রেফতারি পরোয়ানা। ছবি সংগৃহীত।
গাজীপুরে কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও বাচ্চা প্রসবের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরও তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও।
রোববার (২৩ জুলাই) কাপাসিয়ায় বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে তাকে। এমনকি থানার সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মঞ্চেও দীর্ঘক্ষণ বক্তব্য দেন কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদের অভিযুক্ত চেয়ারম্যান।
এদিকে, চাঞ্চল্যকর এমন ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়েও কিভাবে তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান- সেই প্রশ্নে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম লুৎফুল কবীর বলেন, ‘অফিসিয়ালি থানায় এখনও গ্রেফতারি পরোয়ানা হাতে না পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।’
গত বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) গাজীপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আসামি মো. সাখাওয়াত হোসেন কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও একই সঙ্গে তিনি কাপাসিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতিও।
এর আগে ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন নির্যাতনের শিকার কিশোরীর বাবা।
মামলায় উল্লেখ আছে, কিশোরী গৃহকর্মীকে স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রায়ই ধর্ষণ করতেন চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন। এক পর্যায়ে কিশোরী গর্ভবতী হয়ে গেলে চেয়ারম্যান তার বাড়ির কাজের লোকের সঙ্গে জোরপূর্বক গর্ভবতী কিশোরীকে বিয়ে দেন। ওই বছরের ১৬ আগস্ট মেয়েটিকে কাপাসিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।