প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। ছবি: সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
সোমবার (২৪ জুলাই) ইতালিতে দোহার-নবাবগঞ্জের প্রবাসীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সালমান এফ রহমান বলেন, দেশে একটা পক্ষ আছে, যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করতে চায় না। তারা চায়, দেশ আবারও পাকিস্তানের মতো হোক। মূলত বিএনপি ও জামায়াতের লোকজন এটা চায়। তারা বিভিন্ন উছিলায় ভোটে আসতে চায় না। দেশের মাটিতে ভোট হতে দেবে না, এটা সম্ভব নয়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে তিনি বলেন, এতদিন বিদেশিদের পেছনে ঘুরেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে কেউ সায় দেয়নি। বিদেশিরা তো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে ফেলে দেয়নি। শেখ হাসিনার অধীন সংবিধান অনুযায়ী সময়মতো নির্বাচন হবে।
নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে সালমান রহমান বলেন, নির্বাচনে মানুষের কাছে ভোট চাইতে হবে। লোকজনকে বোঝাতে হবে, আওয়ামী লীগ সরকার তাদের জন্য কত-কত উন্নয়ন করেছে। নতুন নতুন বিমান কেনা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, রোম-ঢাকা সরাসরি ফ্লাইটও চালু হবে। ইতালির সরকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুনাম করেছে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ইতালিয়ান ভাষা শিক্ষার ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ইতালির বিভিন্ন মন্ত্রী এবং FAO-সহ জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা প্রধানরাও এখন বাংলাদেশকে কপি করতে চান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাদের একটাই প্রশ্ন: কী করে তিনি বাংলাদেশকে উন্নয়নের এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন?
কংগ্রেসম্যানদের চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা চিঠি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। খোঁজ নিয়ে দেখি, ওই কংগ্রেসম্যান তার এলাকার বিএনপি নেতার কথা বলেন। যে কিনা ওই এলাকার গ্রোসারি শপের মালিক। তিনি কংগ্রেসম্যানকে বলতেন, আপনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অ্যাকশন না নিলে, তার এলাকায় বসবাসকারী কোনো বাংলাদেশি ভোটার তাকে ভোট দেবে না। ওই কংগ্রেসম্যান পরে বলেন, একজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীও তাকে বলেনি যে, বিএনপির লোকজন মিথ্যা বলছেন।
‘জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন পাব কি না, জানি না। তবে নৌকার পক্ষে ভোট চাচ্ছি। সবাই নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করুন। আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শত্রু আওয়ামী লীগই। বিএনপির কিন্তু কোনো গ্রুপিং নেই,’ যোগ করেন তিনি।