ঝালকাঠিতে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি ডোবা থেকে তোলা হচ্ছে। ছবি একুশে বিডি।
ঝালকাঠিতে বাস দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহতের ঘটনায় চালকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে।
রোববার (২৩ জুলাই) রাতে ঝালকাঠি সদর থানার এসআই সুশংকর বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন। তবে মামলার আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- বাসচালক মোহন (৪০), সুপারভাইজার মিজান (৩০) ও চালকের সহকারী আকাশ (১৭)।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল জানান, এ ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা না করায় পুলিশ বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ভান্ডারিয়া থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে ঝালকাঠির গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ছত্রকান্দা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসটি উল্টে ডোবার পানিতে পড়ে যায়। এ সময় ১৭ জন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন: পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তারেক রহমান (৪৫), ভান্ডারিয়া উপজেলার পশুরবুনিয়া এলাকার জালাল হাওলাদারের শিশুকন্যা সুমাইয়া (৬), একই উপজেলার রিজার্ভ পুকুরের পাড় এলাকার রহিমা বেগম (৬০), তার ছেলে আবুল কালাম হাওলাদার (৪৫), ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য ভান্ডারিয়ার সালাম মোল্লা (৬০), তার ছেলে শাহীন মোল্লা (২৫), উত্তর শিয়ালকাঠি এলাকার রাবেয়া বেগম (৮০), বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরবোয়ালিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ (৮), মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার মো. রিপনের স্ত্রী আইরিন আক্তার (২২), তার শিশুকন্যা রিপা মনি (২), কাঁঠালিয়া উপজেলার বাঁশবুনিয়া গ্রামের সালমা আক্তার, ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার নিজামিয়া এলাকার খাদিজা বেগম (৪৩), তার মেয়ে খুশবু আক্তার (১৭) ও দক্ষিণ রাজাপুরের বলাইবাড়ী এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. নয়নসহ (১৬) ১৭ জন।
এ দিকে দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুন শিবলিকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।