দুই আদিবাসী নারীকে যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদে মণিপুরের টাউন হলের বাইরে জড়ো হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: রয়টার্স
ভিডিও প্রকাশের পর এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনাকে বর্বর ও ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছে দেশটি। এদিকে, সোমবার (২৪ জুলাই) অধিবেশনের শুরুতেই মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে ভারতের পার্লামেন্ট।
মণিপুরে তিন মাস আগে দুই আদিবাসী নারীকে যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের ভিডিও সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তোলপাড় গোটা ভারত। প্রায় প্রতিদিনই এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ হচ্ছে। এ ঘটনা নজর কেড়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও। যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনাকে বর্বর এবং ভয়াবহ বলে উল্লেখ করলেও, এর কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ভারত।
এছাড়াও মণিপুরের রাজধানী ইম্ফালে কুকি সম্প্রদায়ের একই পরিবারের দুই বোনকে গণধর্ষণের পর হত্যা এবং আরেক নারীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর বৃদ্ধ স্ত্রীকেও পুড়িয়ে মারে হামলাকারীরা।
মণিপুরের সহিংসতার আঁচ লেগেছে প্রতিবেশী মিজোরামেও। সেখানে বসবাসকারী মেইতেই সম্প্রদায়ের অনেকে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। তবে এমন পরিস্থিতিতে মিজোরাম সরকার মেইতেইদের সম্পূর্ণ সুরক্ষার আশ্বাস দিয়েছে।
এদিকে, সোমবার অধিবেশেনর শুরুতেই মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে পার্লামেন্টের লোকসভা ও রাজ্যসভা। এদিন অধিবেশন শুরুর আগে মণিপুর ইস্যুতে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি দাবি করে বিক্ষোভ করেন বিরোধীরা।
এ অবস্থায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, মণিপুর ইস্যুতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত কেন্দ্রীয় সরকার।
অন্যদিকে, মণিপুরে চলমান সহিংসতা বন্ধে বিশেষ প্রার্থণা করেছেন বিভিন্ন ধর্মের মানুষ।