মাছ সমুদ্রে আগুন লাগা জাহাজ থেকে ধোঁয়া উড়ছে। ছবি: রয়টার্স
নেদারল্যান্ডসের সমুদ্রসীমায় তিন হাজার বৈদ্যুতিক গাড়িবাহী জাহাজে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে জাহাজটির একজন ক্রু নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও অনেকেই।
বুধবার (২৬ জুলাই) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রিম্যানটেল হাইওয়ে নামের ১৯৯ মিটারের মালবাহী জাহাজটি তৈরি ও নিবন্ধিত হয়েছে পানামায়। গাড়িগুলো নিয়ে জার্মানির ব্রেমারহ্যাভেন বন্দর থেকে থেকে মিসরের দিকে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। বন্দর থেকে ১৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নেদারল্যান্ডসের সমুদ্রসীমায় ঢোকার পর হঠাৎ আগুন লাগে জাহাজটিতে।
তবে ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে , তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আগুন লাগার পর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং আগুন নেভাতে গিয়ে একজন ক্রু নিহত হন । এছাড়াও বেশ কয়েকজন ক্রু আহত হয়েছেন। আহতদের কয়েক জন আগুনের আঁচ থেকে বাঁচতে সমুদ্রে ঝাঁপও দিয়েছিলেন।
ফ্রিম্যানটেল হাইওয়েতে এখনও জ্বলছে আগুন। ক্রুদের বাঁচাতে এগিয়ে আসা নেদারল্যান্ডসের সরকারি উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান দ্য রয়েল ডাচ রেসকিউ কোম্পানির (কেএনআরএম) একটি উদ্ধারকারী জাহাজের ক্যাপ্টেন উইলার্ড মলিনার নেদারল্যান্ডসের সংবাদমাধ্যম এনওএসকে বলেন, ‘আগুন লাগার পর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে তা ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রচুর ধোঁয়া উঠছিল সেখান থেকে। কয়েকজন ক্রু আগুনে ঝাঁপ দিয়েছিলেন, আমরা তাদেরকে সেখান থেকে তুলেছি।’
আহত ক্রুদের উদ্ধারের পর কেএনআরএমের একটি হেলিকপ্টারে করে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মলিনার।
তিনি আরও জানান পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিল; কিন্তু তাতে আগুন নেভেনি, বরং জাহাজটি ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় সেই প্রচেষ্টা থেকে সরে আসতে হয়েছে উদ্ধঅরকারী জাহাজকে। বর্তমানে হুকের সাহায্যে জাহাজটিকে ভাসিয়ে রাখা হয়েছে।
‘জাহাজটিতে প্রায় ৩ হাজার গাড়ি রয়েছে। সবগুলোই বৈদ্যুতিক গাড়ি। গাড়িগুলোর মধ্যে থাকা ব্যাটারির কারণেই এখনও সেখানে আগুন জ্বলছে। এ কারণে সাগরে ভাসমান অবস্থায় সেই আগুন নেভানো পায় অসম্ভব’ এনওএসকে বলেন মলিনার।
জার্মানির অবসরপ্রাপ্ত প্রথম সারির নাবিক এবং বর্তমানে জার্মান বিমা সংস্থার কর্মকর্তা উয়ে পিটার শিডার বলেন, ‘সম্ভবত জাহাজটিতে থাকা কোনও একটি বা একাধিক গাড়ির ব্যাটারির রাসায়নিক বিক্রিয়া থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। বৈদ্যুতিক গাড়ির এই ব্যাপারটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এর আগেও আমরা এমন ঘটনা ঘটতে দেখেছি।’