প্রিজন ভ্যানে আদালতে আনা হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের। ছবি একুশে বিডি।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে বুধবার রাতে গ্রেফতার বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢাকার সিএমএম কোর্টে তোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে তাদের প্রিজন ভ্যানে আদালতে আনা হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান দাবি করেন, মঙ্গলবার থেকে এক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় গণগ্রেফতার বন্ধের আহ্বান জানান তিনি। বলেন, শুক্রবারের মহাসমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ।
এর আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার নিয়ে এক জরুরি বার্তা দিয়েছেন।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার মীর আশরাফ আলী ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মুনতাহা আলীকে গতকাল (বুধবার) রাতে বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের সময় আশরাফ আলী দুই পা ভাঙাসহ গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ছাড়া শুক্রবার (২৮ জুলাই) ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য দলের মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস আকন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট।
বিএনপির সহদফতর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত বার্তায় আরও বলা হয়, নয়াপল্টনের কাছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশে মিডওয়ে হোটেল ও ভিক্টোরিয়া হোটেলেও অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা ৩০০ জনেরও বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে গণতান্ত্রিক চর্চার অংশ হিসেবে সমাবেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে পুলিশের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি অবিলম্বে গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান রিজভী।