সকালেই নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিএনপি নেতাকর্মীরা। ছবি একুশে বিডি।
দিনভর উত্তেজনা আর নাটকীয়তার পর সমাবেশ কর্মসূচি এক দিন পিছিয়েছে বিএনপি। কিন্তু বুধবার রাতে সমাবেশ পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার আগেই ঢাকার বাইরে থেকে নেতাকর্মীরা চলে আসেন। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকালেই নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
সকাল থেকেই উৎসুক নেতাকর্মীরা স্লোগানে মুখর করে রাখেন নয়াপল্টন এলাকা। জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের অধিকাংশই ঢাকার বাইরের। বৃহস্পতিবারের মহাসমাবেশে যোগ দিতেই বিভিন্ন জেলা থেকে তারা ঢাকায় এসেছেন। অবস্থান করেছেন হোটেল, আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতদের বাসাবাড়িতে।
সমাবেশ পিছিয়ে গেলেও শুক্রবার মহাসমাবেশ করে বাড়ি ফিরবেন বলে জানান তারা।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়া নেতাকর্মীদের ধমক দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সমাবেশের অনুমতির আগে ভিড় না করতে নেতাকর্মীদের অনুরোধ করেন তিনি।
এ সময় বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, শুক্রবারের সমাবেশের অনুমতি চেয়ে এরই মধ্যে ডিএমপিকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
এদিকে আজও (বৃহস্পতিবার) নয়াপল্টনে মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। রয়েছে জলকামান, সাঁজোয়া যান। বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশে অবস্থান নেয় পুলিশ।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশের সময়ও প্রায় একই রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। তখনও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাকি নয়াপল্টনে সমাবেশ হবে, তা নিয়ে নাটকীয়তা চলেছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপি গণসমাবেশ করে ১০ দফা দাবি ঘোষণা করে। তবে এবার বিএনপি গোলাপবাগে মহাসমাবেশ করতে রাজি হয়নি।
পুলিশের প্রস্তাবিত গোলাপবাগ মাঠে না গিয়ে পল্টনের সড়কেই শুক্রবার (২৮ জুলাই) মহাসমাবেশ করতে চায় বিএনপি। কিন্তু গোলাপবাগ ছেড়ে পল্টনের সড়কে বিএনপি সমাবেশ করতে চাইলে নতুন করে আবেদন করতে হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তবে আবেদন করলেই সড়কে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে কি না, সেটাও পরিষ্কার করেনি তারা।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক সময় সংবাদকে বলেন, নয়াপল্টন কিংবা গোলাপবাগে যেখানেই বিএনপি মহাসমাবেশ করুক, আবারও নতুন করে আবেদন করতে হবে। ডিএমপির অনুমোদন ছাড়া কোথাও সমাবেশ করা যাবে না।
তবে ছুটির দিনেও চ্যালেঞ্জ থাকতে পারে। তা ছাড়া মহররমের একটি বিষয় রয়েছে। তাই পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে আবেদনের পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
সে ক্ষেত্রে সড়কে সমাবেশের অনুমতি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। এ অবস্থায় বিএনপির সমাবেশের ভেন্যু নির্ধারণের বিষয়টি এখনই পরিষ্কার হচ্ছে না।