শরীয়তপুর পৌর ভবন। ছবি একুশে বিডি।
গত জুন মাসের ১৩ তারিখে হঠাৎ করেই সার্ভার সমস্যা দেখা দেয় শরীয়তপুর পৌরসভায়। তখন থেকেই জন্ম নিবন্ধন, সংশোধনসহ সব ধরনের ই-সেবা চরমভাবে ব্যাহত হয় শরীয়তপুর পৌরসভায়।
সরকারি, বেসরকারি, ব্যক্তিগতসহ নানা কাজে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন হলেও গত এক মাসের অধিক সময় ধরে এ সেবা না পেয়ে চরম বিপাকে পড়েছে শরীয়তপুর পৌরসভার জনসাধারণ। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বিদেশগামীরা।
পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের একজন সেবা প্রত্যাশী মনির হোসেন বলেন, ‘আমি বিদেশ যাওয়ার জন্য আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা করব। শুধুমাত্র জন্ম নিবন্ধন হাতে না পাওয়ার কারণে আমি জমা দিতে পারছি না।’
প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রয়োজনে অভিভাবকরা ভিড় করছেন শরীয়তপুর পৌরসভায়। কিন্তু বারবার এসেও মিলছে না জন্ম নিবন্ধন সহ অন্যান্য ই-সেবা।
বারবার চেষ্টা করেও সার্ভার ঠিক না হওয়ায় সেবা দিতে পারছে না পৌর কর্তৃপক্ষ। তবে চেষ্টার কোনো কমতি নেই বলে তাদের দাবি। অফিস সহকারীরা বলছেন, আমরা বারবার চেষ্টা করে যাচ্ছি, কখনও আবেদন করার সুযোগ থাকলেও দেয়া যাচ্ছে না প্রিন্ট। আবার বাংলা জন্ম সনদটি বের করা গেলেও মিলছে না ইংরেজি সনদ। এভাবেই কোনো রকমে সেবা দিতে বাধ্য হচ্ছি আমরা।
শরীয়তপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ঢালী বলেন, ‘আমরা ই-সেবা না দিতে পারায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে আমাদের জনগণ। তবে এই ভোগান্তিতে পড়ছি আমরাও। আমরা তাদের বারবার খোঁজখবর রাখা সত্ত্বেও সেবা দিতে পারছি না। দ্রুত সময়ের মধ্যে এর একটি সমাধান না হলে জনগণের ভোগান্তি আরও বেড়ে যাবে।’
পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের একজন নাগরিক মোতালেব ঢালী তিনি বলেন, ‘জন্ম সনদটি এখন নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। যা ছাড়া আমাদের একটি কাজও সম্পন্ন করার কোনো সুযোগ নেই। দীর্ঘদিন ধরেই শরীয়তপুর পৌরসভায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না হলে সাধারণ মানুষ অনেক কাজ করা থেকে ব্যর্থ হবে।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমরা এই সমস্যায় ভুগছি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সহযোগিতাও আমরা চেয়েছি। পাশাপাশি সমস্যার কথাগুলো আমরা ঢাকা সদর দপ্তরেও জানিয়েছি। তবে এখনও পর্যন্ত আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান পাইনি। তবে আরও কিছুদিন এ সমস্যা থাকতে পারে এমনটি জানতে পেরেছি ঊর্ধ্বতনদের কাছ থেকে। তবে এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা সাধারণ জনগণকে যথাযথ ই-সেবা দিতে পারছি না। এ সমস্যা সমাধানে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।