বক্তব্য দেয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন যুবলীগ কর্মী আজাদ শেখের ভাই সাজ্জাদ শেখ। ছবি: আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ
যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ছাত্রলীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন নড়াইলে খুন হওয়া যুবলীগ কর্মী আজাদ শেখের ভাই সাজ্জাদ শেখ।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেয়া হয় তাকে।
এসময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, সেদিন খুলনার সমাবেশ শেষে সবাই ঘরে ফিরেছিলো কিন্তু আমার ভায়ের লাশ এসেছি।
সাজ্জাদ শেখ বলেন, আমার ভায়ের ছোট দুইটা সন্তান। একটা ছেলের বয়স মাত্র এক বছর। সে এখনো জানে না বাবা কী জিনিস। তারা আমার ভাবীকে বিধবা করেছে। আমার মা-বাবাকে করেছে সন্তানহারা। আর আমি হারিয়েছি ভাই।
তিনি বলেন, যারা স্বন হারান তারাই শুধু জানেন, স্বজন হারানোর যন্ত্রণা। ১৯৭৫ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বজন হরিয়েছিলেন। আমরা এই অপরাজনীতি আর দেখতে চাই না।
তিনি দ্রুত ভাই হত্যার বিচার দাবি করেন।
গত ২০ জুলাই খুলনায় তারুণ্যের জয়যাত্রা সমাবেশ যোগ দিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে খুন হন নড়াইলের পিরোলী ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী আজাদ শেখ।
২৩ জুলাই বিকেলে নিহতের ভাই পিরোলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদ শেখ বাদী হয়ে ২০ জনের নামে কালিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ছয়জনকে আসামি করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, খুলনায় তারুণ্যের জয়যাত্রা সমাবেশ যোগ দিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিলেন আজাদ শেখ। পথিমধ্যে তিনি পিরোলী পূর্বপাড়া চৌরাস্তায় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের পরিকল্পিত হামলার শিকার হন। সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও শাবল, লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যান।
স্থানীয়রা আজাদকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।