বিএনপি নেতাকর্মীদের আগমনে নয়াপল্টন জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
কয়েকদিনের নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে পছন্দের জায়গা নয়াপল্টনেই মহাসমাবেশ শুরু করেছে বিএনপি। সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে বেলা ২টার পর শুরু হয়েছে মহাসমাবেশ। এতে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীরা বলছেন, এই সরকারকে না হটানো পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরে যাবেন না।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বেলা সোয়া ২টার দিকে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে ৯টি বড় ট্রাক দিয়ে তৈরি করা অস্থায়ী মঞ্চে কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এতে জিয়া পরিবারের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
মহাসমাবেশের শুরুতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, আজকে মহাসমাবেশ না হওয়ার জন্য সরকার বহু চেষ্টা করছে। কিন্তু সফল হয়নি। আমাদের নেতাকর্মীরা সব বাঁধা উপেক্ষা করেই সমাবেশ সফল করতে এসেছেন।
আজকের মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর সঞ্চালনা করছেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও আব্দুস সালাম।
দলীয় কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখান থেকে সরকারের পতনের দাবি তোলার পাশাপাশি আন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণা করা হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
এর আগে, সকালেই কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বেঁধে দেয়া সীমানায় ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইলসহ আশপাশে টাঙানো হয়েছে দেড় শতাধিক মাইক।
মহাসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই দলীয় কার্যালয়ের সামনে খণ্ড খণ্ড মিছিলে জড়ো হয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। গায়ে রঙিন পোশাক, হাতে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, পতাকা নিয়ে বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দেন তারা। ঢাকার বাইরে থেকে অনেকেই গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই এসে হাজির হয়েছেন। রাতভর নয়াপল্টনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়েছেন।
এদিকে, সমাবেশ শুরুর আগ পর্যন্ত নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে মঞ্চ থেকে জাসাসের উদ্যোগে গান পরিবেশন ও প্রতিবাদী কবিতা পাঠ করা হয়েছে।
বর্তমানে কাকরাইল মোড় থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে নয়াপল্টনের সামনের সড়ক হয়ে আরামবাগ পর্যন্ত পুরো সড়ক বিএনপি নেতা–কর্মীদের দখলে চলে গেছে। অন্যদিকে মালিবাগ, মৌচাক, শান্তিনগর, বিজয়নগরসহ আশপাশের অলিগলিতেও অবস্থান নিয়েছেন বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। তবে অনেকেই অভিযোগ করেছেন, পথে পথে তাদের হয়রানি করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের নামে করেছে হেনস্তা।
মানুষের ভিড় ও চাপ বাড়তে থাকায় সকাল থেকে নয়াপল্টনের দুই পাশের সড়কই যান চলাচল পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে।