জামালপুরে বিএনপি-জামায়াতের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল। ছবি সংগৃহীত।
বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে জামালপুরে মাঠে নেমেছেন সাধারণ নারী ভোটাররা।
গ্রামগঞ্জ থেকে আসা হাজারো নারী মিছিল সমাবেশ করে বলেছেন, তারা নৌকায় মার্কায় ভোট দেবেন। শেখ হাসিনাকেই তারা ক্ষমতায় দেখতে চায়। শেখ হাসিনা সরকারে থাকলে নারী সমাজের উন্নয়নে কাজ করে। নারীদের বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, শিক্ষা উপবৃক্তি এবং নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। নারীদের এই সমাবেশ ও মিছিলে নেতৃত্ব দেন জামালপুর-শেরপুরের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য বেগম হোসনে আরা।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৪ টায় ইসলামপুর পৌর শহরের সরকারি ইসলামপুর কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে থানা মোড় বটতলা চত্বরে শেষ হয়। পরে সেখানে নারীদের শান্তি সমাবেশ করা হয়।
শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওযামী কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও জামালপুর-শেরপুর আসনের সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য হোসনে আরা।
তিনি বলেন, আজ শুক্রবার ঢাকায় সমাবেশের নামে বিএনপি-জাময়াত নৈরাজ্যের সৃষ্টি করেছে। শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য, অগ্নিসংযোগ ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আমরা রাজপথে নেমে এসেছি। আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্র মানুষ বুঝে ফেলেছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে।’
এমপি হোসনে আরা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশে উন্নয়ন হয়। দেশের মানুষ ভালো থাকে। বিএনপি-জামায়াত দেশের উন্নয়ন বোঝে না। তারা জ্বালাও-পোড়াও ছাড়া আর কিছুই জানে না। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দুর্নীতি করে দেশটাকে ভঙ্গুর বানিয়ে ছিল। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তাই বিএনপি-জামায়াতকে জনগণ আর ভোট দেবে না।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইসলামপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুর ইসলাম নুর, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সুজন মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাহমুদুল হাসান মামুন, ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল সিনার। বিক্ষোভ মিছিল ও শান্তি সমাবেশে হাজারো নারী অংশ নেন।