মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ফাইল ছবি)
দেশের সকল মহানগর এবং জেলা সদরে আগামী সোমবার (৩১ জুলাই) জনসমাবেশ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি।
শনিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির কথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল রোববারই আমরা কর্মসূচি দিতাম। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এদিন বিক্ষোভ করবে। তাই আমরা পরেরদিন এই কর্মসূচি পালন করবো।
এর আগে শুক্রবার (২৮ জুলাই) নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ থেকে আজ শনিবার ঢাকা মহানগরীর প্রবেশপথগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বিএনপি। এরপর শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগও। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়নি ডিএমপি। রাতে ডিএমপির গণমাধ্যম বিভাগ থেকে পাঠানো এসএমএসে ডিএমপি কমিশনারকে উদ্ধৃত করে একথা জানানো হয়।
এরপর আওয়ামী লীগ কর্মসূচি থেকে সরে এসে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক অবস্থানের ঘোষণা দেয়। কিন্তু শনিবার সকাল থেকেই সড়কে অবস্থানের চেষ্টা করে বিএনপি। লাঠিসোঁটা হাতে সড়কে নামেন দলটির নেতাকর্মীরা।
সকাল সাড়ে ১১টার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান বিএনপি নেতাকর্মীরা। গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ ককটেল ও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটাতে দেখা যায় বিভিন্ন পয়েন্টে।
এসব ঘটনায় অন্তত ২০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ। এছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে ৯০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে মির্জা ফখরুলের দাবি, মাতুয়াইল ও শ্যামলীতে গাড়িতে ভাংচুর ও আগুন দেয়ার ঘটনায় বিএনপির উপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
আজকের ‘অরাজকতা’র জন্য তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকেই আহত ও গ্রেফতার করা হয়েছে।