ওয়ার্ল্ড রোবটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩-এ বাংলাদেশের দল আটলাস। ছবি: সংগৃহীত
ওয়ার্ল্ড রোবটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩-এ বিশ্বে দ্বিতীয় হয়েছে বাংলাদেশের দল আটলাস। বিজ্ঞানের বৈশ্বিক মঞ্চে এটা বাংলাদেশের একটা উল্লেখযোগ্য অর্জন ও সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড রোবটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ বিশ্বের রোবট বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় আসর। একে রোবটিক্স ওয়ার্ল্ড কাপও বলা হয়। চলতি বছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২টি দেশের ৩ শতাধিক দল এই আসরে অংশ নিয়েছিল।
অংশ নেয়া দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, নেপাল, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, পর্তুগাল, প্যারাগুয়ে, মিশর, উজবেকিস্তান, ইরান, ওমান, নাইজেরিয়া ও মালয়েশিয়া।
গত ২৫ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ভারতের নয়ডায় অনুষ্ঠিত হয় ওয়ার্ল্ড রোবটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৩। ‘ডব্লিউআরসি ইনোভেশন কনটেস্ট’সহ নয়টি বিভাগে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
এর মধ্যে ‘ডব্লিউআরসি ইনোভেশন কনটেস্ট’ বিভাগে বাংলাদেশি দল আটলাস প্রথম রানার্স আপ হয়েছে। এই বিভাগে অংশ নেয়া দলগুলো প্রকাশিত গবেষণা, ফিল্ড ডেটা বা উভয়ের মাধ্যমে নিজেদের উদ্ভাবনগুলো প্রদর্শন করে।
এই বিভাগে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর রোবটগুলো কিভাবে সক্ষমতা, নির্ভুলতা, উপযোগিতা ও নতুনত্ব দেখায় তা বিচার করা হয়। এ বছর দুটি রোবট নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বাংলাদেশের দল আটলাস।
একটি ‘ডিফেন্ডার’ নামে অগ্নিনির্বাপক রোবট এবং অপরটি আটলাস স্পার্ক নামে খনিতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজে ব্যবহারের জন্য বহুমুখী রোবট।
আটলাস দলের সদস্যরা হলেন সানি জুবায়ের (ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি), কাজী মোঃ মুহাইমিন উল ইসলাম মাহি (সিসিএন ইউএসটি), মোহাইমেনুল ইসলাম সোহান (আহসানুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি), মো তানজির আরাফাত (বিএএফ শাহীন কলেজ), আলভি সাকিব অরিন (ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি)।
এছাড়া দলে আরও ছিলেন শিহাব আহমেদ অনন্ত (নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি), নাজিফ আহিয়ান (ফয়জুর রহমান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ), মোঃ রাকিবুল হাসান নিশাত (ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি), এমডি মারুফ মিয়া (নির্ঝর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল), মোঃ আল মাহমুদ আলিফ (ফয়জুর রহমান আইডিয়াল স্কুল) ও কলেজ), সাকিবুল আহসান তিহাম (ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়) ও জান্নাতুল ফেরদৌস (ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়)।
দলের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সিনিয়র লেকচারার মোঃ সাইফুল ইসলাম। দলের এই অর্জনে আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তিনি।