ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার দল টাকা দিয়ে লাশের রাজনীতি করতে চায় বলে অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের আশঙ্কা সত্যি হয়েছে, বিএনপির এক দফা আন্দোলন হলো আগুন সন্ত্রাস। লাশ ও টাকা ছাড়া কথা বলে না তারেক রহমান। এত টাকা কোথায় পায় সে? সে বলছে আন্দোলন করো, টাকার অভাব হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপির আগুন সন্ত্রাস আবার শুরু হয়ে গেছে। ১৩, ১৪ সালের আগুন সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এ সময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি চুপ থাকতে পারে না।
আগামী নির্বাচন পর্যন্ত সড়কে আওয়ামী লীগ নেতারা থাকবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সংঘাত করতে সভা সমাবেশ করেনি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা পবিত্র দায়িত্ব মনে করে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক অবস্থায় রাজপথে থাকবে। অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের লড়াই চলবে।
বিএনপি রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশমুখে অবস্থান নিয়ে আগুন সন্ত্রাস ও তাণ্ডব চালিয়েছে অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কর্মসূচির নামে রাস্তা বন্ধ করে দেবে, এটা কি তারেক রহমানের বাপ দাদার সম্পত্তি। বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথে প্রধান বাধা বিএনপি।’
ওবায়দুল কাদের বিএনপির বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ না মানার অভিযোগ তুলে বলেন, ‘আমার প্রশ্ন তারেক রহমান কি আইনের ঊর্ধ্বে? বিএনপির নেতারা আইনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, তারা আইন মানেন না। আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করছে তারেক রহমান। আদালত বলেছিল তার কোনো ভাষণ, বিবৃতি কোথাও প্রচার করা যাবে না। তারপরও আদালত অবমাননা করে চলেছেন তিনি ও তার দল।’
শনিবার সড়কে বিএনপির অবস্থান নেয়ার কথা ছিল। বিপরীতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও সড়কে থাকার ঘোষণা দেন। এ অবস্থায় সংঘাত এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে রাজধানীতে কোনো দলকেই কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়া হয়নি। তবু পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশমুখে অবস্থান নিয়ে আগুন সন্ত্রাস, ভাঙচুর এবং সহিংসতায় জড়ান।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি প্রধান) অতিরিক্ত কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ বলেন, দিনভর সংঘর্ষে পুলিশের ২০ সদস্য আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটক করা হয়েছে ৯০ জনকে। পুলিশের রায়টকারেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া রাজধানীতে সাতটির বেশি বাস ও বিভিন্ন পরিবহনে অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।