পুলিশের জলকামানের ওপর হামলা চালাতে দেখা যাচ্ছে বিএনপি কর্মীদের। ছবি:
বিএনপির ডাকা অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শনিবার (২৯ জুলাই) ঢাকার প্রবেশমুখে পুলিশের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় রাজধানীর কয়েকটি থানায় ১১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় দলটির ৫৫৭ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
রোববার (৩০ জুলাই) করা এসব মামলার মধ্যে উত্তরা পশ্চিম থানায় ২টি, উত্তরা পূর্ব থানায় ৩টি, এয়ারপোর্ট থানায় ১টি, সূত্রাপুরে ১টি, বংশালে ১টি, কদমতলীতে ১টি ও যাত্রাবাড়ী থানায় ২টি মামলা করা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
যাত্রবাড়ী থানার এসআই (নিরস্ত্র) মো. মুকিত হাসান ও মো. কামরুজ্জামান বাদী হয়ে আলাদা দুটি মাললায় ২১৭ জনকে আসামি করেন। কদমতলী থানায় এসআই নাজমুল মোল্লা (নিরস্ত্র) বাদী হয়ে ৭০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ছাড়া উত্তরা পূর্ব থানায় আলাদা ৩ মামলায় ১০০, উত্তরা পশ্চিম থানায় আলাদা দুই মামলায় ৩১, বংশাল থানায় ২৫, সূত্রাপুর থানায় ৩৪ এবং বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাতনামা ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এসব মামলার এজাহারে উল্লেখিত বিবরণ অনুযায়ী, শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল, বাঁশ-লাঠি ও ককটেল ছাড়াও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সরকারবিরোধী উসকানিমূলক ও অবমাননামূলক স্লোগান দেন। এ সময় রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটিয়ে জনগণের চরম ভোগন্তি সৃষ্টি করা হয়।
পুলিশের অনুরোধ উপেক্ষা করে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ ছাড়াও কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে বিএনপির বেশ কয়েকজন আসামিকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। তাই পলাতকসহ আটক হওয়াদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
প্রসঙ্গত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শনিবার রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এদিন ধোলাইখাল, যাত্রাবাড়ী ও গাবতলীতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দলটির নেতাকর্মীরা।
এ সময় যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অন্তত তিনটি বাসে আগুন দেয়া হয়। এছাড়া শ্যামলীতে পুলিশের গাড়িতে আগুন ও একাধিক যানবাহন ভাঙচুর করেন তারা।
যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সহ-সম্পাদক নিলোফার চৌধুরী মনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তার পুরোনো অভ্যাস ভুলতে পারেনি। তারা আমাদের দাঁড়াতে দেয়নি। শান্তিপূর্ণভাবে মানুষ জমায়েত হচ্ছিল; কিন্তু পুলিশ এসে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।’