মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর । সংগৃহীত ফাইল ছবি
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল। এই অঞ্চলগুলো নিয়ে বেশ আগ্রহ প্রকাশ করতে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রকে। এবার এই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলগুলো নিয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছে দেশটি।
শনিবার (২৯ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর টুইটার থেকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস সেটি রিটুইট করেছে।
টুইট বার্তায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলগুলো নিয়ে তাদের চারটি দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলো তাদের ইচ্ছামতো নিজেদের অংশীদার ও পথ বেছে নিতে পারবে। দেশগুলোর যেকোন সমস্য খোলাখুলিভাবে সমাধান করা হবে। নীতিমালাগুলো স্বচ্ছ হবে এবং সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করা হবে। এছাড়া যেকোনো পণ্য, মানুষ ও তাদেরর ভাবনা বৈধভাবে বিনা বাধায় চলাচল করতে পারবে।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ১২টিরও বেশি দেশ রয়েছে। এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও বাংলাদেশের মতো দেশ। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর পাশাপাশি রয়েছে অনেক উঠতি অর্থনৈতিক পরাশক্তির দেশ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালে যে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেজি ঘোষণা করে, সেখানে তারা দেখিয়েছে ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলোতে যে জনসংখা সেটা বৈশ্বিক জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি, যার ৫৮ শতাংশই তরুণ। কর্মশক্তি এবং ভোক্তা -দুই হিসেবেই সংখাটা বিশাল।
এখানকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৈশ্বিক অর্থনীতিরই দুই-তৃতীয়াংশ, জিডিপি’র পরিমাণ হচ্ছে বৈশ্বিক জিডিপি’র ৬০ শতাংশ। এছাড়া বিশ্বে যে সমুদ্র আছে, তার ৬৫ শতাংশ পড়েছে ইন্দো-প্যাসিফিকে, ভূমির ক্ষেত্রে যেটা ২৫ শতাংশ। সবমিলিয়ে এই অঞ্চল হয়ে উঠছে বৈশ্বিক রাজনীতির ভরকেন্দ্র এবং আগ্রহের কারণ।