জামায়াতে ইসলামীর মনোগ্রাম।
কিশোরগঞ্জে বিক্ষোভের প্রস্তুতি নেয়ার সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (৩০ জুলাই) সকালে শহরের একরামপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করে সদর মডেল থানা পুলিশ। এর আগে, শনিবার (২৯ জুলাই) রাতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আরও ২ জনকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি দলটির।
আটক নেতাকর্মীরা হলেন: জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি খালিদ হাসান জুম্মন, করিমগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি আতাউর রহমান, সদর উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল ওয়াহাব, পাকুন্দিয়া পৌর শাখার অর্থ সম্পাদক মাওলানা ওমর ফারুক, ছাত্রশিবির বাজিতপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল হাকিম, পাকুন্দিয়া উপজেলা উত্তর শাখার সেক্রেটারি সাইফুল্লাহ মানসুর, আব্দুল খালেক, আব্দুর রহমান, আবু সালেহ, মো. মোখলেছ, মো. ইয়াসিন, ফাইজ উদ্দিন, ডাক্তার আব্দুল হাই, মো. জিল্লুর রহমান, আব্দুল ওয়াহাব ও সাকিব।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলী জানান, কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মী ও আলেম ওলামাদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সকাল ৮টায় শহরের একরামপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সমাবেশ শুরুর লক্ষ্যে জামায়াতের কর্মীরা একত্রিত হন। মিছিল শুরুর উদ্যোগ নিলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে মিছিলের স্থান থেকে পুলিশ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।