সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন আমান উল্লাহ আমান। ছবি একুশে বিডি।
সরকার মারার পর আবার খাবার খাওয়ায়, ফল দেয়–এটা পুরাই জুতা মেরে গরু দানের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আমানউল্লাহ আমান।
সোমবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত বিএনপির জনসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
আমান বলেন, জুতা মেরে গরু দান, ওষুধ খাইয়ে সরকার আমাকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিল। আমায় ফল দেয়ার নামে নাটক দেখিয়েছে, গয়েশ্বরকে খাবার খাওয়ানোর নামে নাটক দেখিয়েছে। সরকার আমাদের মেরে আবার খাবার খাওয়ায়, ফল দেয়ার নাটক করে। নাটক দেখিয়ে লাভ হবে না, শেখ হাসিনার পতন হবেই।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, ঢাকার যেই চারটি প্রবেশ পথ ছিল প্রতিটি প্রবেশ পথ বন্ধ ছিল, একটি প্রবেশ পথেও কোনো গাড়ি চলাচল করে নাই। কিন্তু কিছু আওয়ামী সন্ত্রাসী এবং কিছু পুলিশ আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে কাজ করেছে।
‘কুকুর যেমন লেলিয়ে পড়ে, ঠিক তেমনি কুকুরের মতো কিছু পুলিশ লেলিয়ে পড়েছিলে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর।’
প্রবেশ পথে অবস্থান সফল হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, একজন আওয়ামী লীগের এমপি, মন্ত্রী কেউ সড়ক দিয়ে যেতে পারে নাই।
আমান বলেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরও তাকে আঘাত করা হয়েছে। আমার সঙ্গে বিএনপি এবং এর অনেক অঙ্গ সংগঠনের নেতারা সেখানে ছিল। ১৫৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ওই দুই ঘণ্টায়।
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে তিনি বলেন, মহাসচিব আপনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে কঠোর অন্দোলনের ঘোষণা দিন, আমরা সবাই প্রস্তুত। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে হলেও এই সরকারের পতন ঘটিয়েই বাড়ি ফিরব।
হুঁশিয়ার করে আমান বলেন, যদি বিএনপির একজন নেতাকর্মীরও মৃত্যু হয়, তবে এক নম্বর আসামি হবেন শেখ হাসিনা, দুই নম্বর আসামি হবেন ওবায়দুল কাদের।