বাঙ্গালীর প্রধান ফসল হল ধান সুধু ফসল হিসেবেই নয়, প্রধান খাদ্যও হলো ভাত।ভাত আসে ধান থেকে।সেই ধানের বীজকেই বাকেরগন্জে পুর্ব্য শত্রুতার জেরে বিষ প্রয়োগ করে নষ্ট করে ফেলেছে দাড়িয়াল ইউনিয়নের মৃর্ত্য আফতাবের ছেলে ভুমিদস্যু আলম খান (৬০)।
৮ নং ওয়ার্ডের মৃতঃ মোহাম্মদ আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম (৪৫) জানান,অভিযোগ সুধু আমার একার নয় এই ভুমিদস্যু আলম খানের বিরুদ্ধে দাড়িয়াল ইউনিয়নের শত,শত নারী,পুরুষের হাজারো অভিযোগ রয়েছে।কিন্তু কোন অভিযোগই তাকে বিন্দু মাত্র টলাতে পারেনি।তাই এখন দাড়িয়াল ইউনিয়নের মানুষের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে এই ভুমিদস্যু আলম খানের খুঁটির জোর কোথায়?
আমিনুল ইসলাম জানান,৭ নং ওয়ার্ডের, বিষারীকাঠী,চড়খন্ঠে আমাদের প্রায় তিন একরের মত জমি রয়েছে যা আমরা ওয়ারিস সুত্রে মালিক,যার জে,এল নং ১০৮ ও খতিয়ান নং ২১৪,২১৫, আমার বাবা,আমার দাদা ওই জমিতে ধান,ডাল,তরমুজ সহ বিভিন্ন ফসলাদি লাগিয়ে বছরের পর বছর ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল হঠাৎ করে সেখানে চোখ পড়লো ভুমিদস্যু আলম খানের।সে কয়েক বছর যাবৎ আমাদের জমি জোর পুর্ব্যক দখল করার জন্য সব সময়ই পায়তারা করে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমি
ধান রোপনের জন্য জমিতে দেড় মন ধানের বীজ ফালাই।খুব সুন্দর হয়েছিল জমির বীজগুলো হঠাৎ জানতে পারলাম প্রত্যক্ষদর্সী মহসীন বয়াতি ও কাঁলাচাদ দাসের মাধ্যমে,যে বৃহস্পতিবার আনুমানিক বিকাল ৫ টার দিগে আমার জমির সব বীজ,বিষ প্রয়োগ করে নষ্ট করে ফেলেছে ভুমিদস্যু আলম খান।আমি এই কথা শোনার সাথে,সাথেই আমার জমিতে গিয়ে দেখি ঘটনা সত্য।আমার প্রায় লক্ষাধিক টাকার বীজ নষ্ট করে ফেলেছে এই ভুমিদস্যু আলম খান।অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে যায় সাংবাদিকদের একটি টিম ঘটনার সত্যতা সন্মধে জানতে চাইলে দাড়িয়াল ইউনিয়নের অনেক মানুষ দৌড়ে আসে সাংবাদিকদের কাছে ভুমিদস্যু আলম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে।এমনকি বাদ যায়নি মসজিদের ইমামও।ওই জমির পাশের বাড়ি রেজাউল সরদারের ও ঈব্রাহিম দেওয়ানের তারা জানান, এর কারনে আমাদের ঘর বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে।কত আর নির্যাতন সহ্য করা যায়।
একই ওয়ার্ডের রুহুল তালুকদার
জানান,আমাদের জমিও জাল দলিল করেছে এই আলম খান।রুহুল আরও জানান, এই দাড়িয়াল ইউনিয়নে যত জমি রয়েছে তা এই আলম খানের প্রয়োজন।মোটকথা জমি দখল করা তার একটা নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।সিদ্দিক বাজার মসজিদের ইমাম বলেন, এমনকি আমার সাথেও রয়েছে জমি নিয়ে আলম খানের মামলা।ওনার লোলুপ দৃষ্টি থেকে আমার জমিটুকুও বাদ যায়নি।৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার জসিম জানান,আমি যখন মেম্বার ছিলাম আর যখন আমি পরিষদে যেতাম তখন এমন কোন দিন নেই যে এই আলম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতোনা।এখনও ওনার বিরুদ্ধে পরিষদে ১০-১৫ টি অভিযোগ জমা রয়েছে।
কিন্তু উনি কিছুতেই কিছু মনে করেনা।অনুসন্ধান করতে গিয়ে আরও জানা যায়, আলম খান জেলা পরিষদের পিয়নে চাকরী করতেন,এবং নিজ ছেলে পুলিশে চাকুরী করায় কাউকে কিছু মনেই করেনা, বরংচো সবাইকে বিভিন্ন রকেমর মামলা হামলাসহ হয়রানী করে থাকে।৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আলম জানান,মানুষ যে এত নগন্য হতে পারে তা আমার জানা নেই,এই আলম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই।আমার মনে হয় আমার ৭ নং ওয়ার্ডে কেউ তাকে ভালো বলবে।কোন মানুষ কি ধানের বীজ ও নষ্ট করতে পারে, সেও কি মানুষ।আমি একজন ইউপি সদস্য হিসেবে মনে করি তার কঠিন
বিচার হওয়া উচিৎ।প্রত্যক্ষদর্শী মহসিন মিয়া জানান,আমিনুল আমার পুত্রা হয় ব্যাবসার তাগিদে সে ঢাকায় থাকে যার কারনে আমি তার জমি ৫-৬ বছর যাবৎ দেখাশুনা করি,প্রায় সময়ই দেখতাম আলম খান তার জমি জোর পুর্ব্যক দখল করতে চাইতো।এর কাজই হল অন্যর জমি জোর পুর্ব্যক দখল করা।
আমিনুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে অবহিত করেছি,এবং মামলা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আলম খান জানান,এই জমি নিয়ে সুধু আমার সাথে ঝামেলা না আর অনান্য লোকদের সাথেও ঝামেলা রয়েছে।কে বা কারা ওই ধানের বীজে বিষ প্রয়োগ করেছে তা আমি জানিনা।এই বিষয়ে দাড়িয়াল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে বারংবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।