উত্তাল সাগরে মাছ ধরার নৌকা। ফাইল ছবি
বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ভোলায় ১২টি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় অধিকাংশ জেলে জীবিত উদ্ধার হলেও নিখোঁজ রয়েছেন ৩৪ জন। কোস্টগার্ড ও স্বজনরা তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) ভোলার ঢালচর ও তুলাতুলির মেঘনায় এবং সাগর মোহনায় এসব ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
চরফ্যাশনের ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার জানান, সকালে ও দুপুরে ঢালচরের দক্ষিণ পাশের মেঘনায় ৫টি ট্রলার ডুবে যায়। প্রবল বাতাস ও প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে ৩২ মাঝিমাল্লা নিয়ে ট্রলারগুলো ডুবে যায়। ট্রলারগুলো এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে ঢালচর ঘাট থেকে একাধিক ট্রলার দুর্ঘটনাস্থলে রওনা হয়ে গেছে। নিখোঁজ জেলেদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
চরফ্যাশন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, ঢালচর সংলগ্ন এলাকায় জেলেসহ ট্রলারডুবির খবর তিনি শুনেছেন। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
কচ্ছপিয়া জোনের কোস্টগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. শামীম মিয়া জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে বেলা সাড়ে ১১টায় সাগরের সাঙ্গু গ্যাসফিল্ড এলাকায় মনপুরার ৫টি ট্রলার ডুবে গেছে। এসব ট্রলারে থাকা শতাধিক জেলের মধ্যে দুজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। বাকিরা অন্য ট্রলারের সহায়তায় জীবিত উদ্ধার হয়েছেন। উদ্ধার জেলেরা সন্ধীপ ও চট্টগ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম জানান, সাগর মোহনায় মনপুরার ৫টি ট্রলার ডুবে যায়। কিছু নিখোঁজ জেলে রয়েছেন, তাদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
এ ছাড়া বিকেল ৩টায় সদর উপজেলার তুলাতুলি সংলগ্ন মেঘনায় ৩০ জন জেলেসহ মহিউদ্দিন মাঝির ট্রলার ডুবে যায়। তাৎক্ষণিক সবাই জীবিত উদ্ধার হলেও ট্রলারের হসিদ পাওয়া যায়নি। চরফ্যাশনের মেম্বার চর এলাকায় আরও একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। ওই ট্রলার থেকে বাবা ও ছেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।