কাতারের দোহায় তালেবান নেতারা (ফাইল ছবি)
আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের পর প্রথমবারের মতো মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছে তালেবান সরকার। কাতারে দু’দিনের এ বৈঠকে দেশটির নিরাপত্তা, অর্থনীতি, মানবাধিকার এবং মাদক চোরাচালানের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও, আফগানিস্তানে বন্দি মার্কিন নাগরিকদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের পর থেকেই মানবাধিকার, সন্ত্রাসবাদ, নারী শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর চক্ষুশূল তালেবান প্রশাসন। একের পর বিতর্কিত সিদ্ধান্ত আর কর্মকাণ্ডের জেরে বিশ্বজুড়েই তীব্র সমালোচনার শিকার তারা।
তবে, এর মধ্যেই প্রথমবারের মতো তালেবান প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মার্কিন প্রতিনিধি দল। কাতারের দোহায় দুদিনব্যাপী এ বৈঠকে আফগানিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতি, ধর্মীয় স্বাধীনতা, মাদক চোরাচালান, নারীদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগসহ বেশকয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয় বলে নিশ্চিত করেছে উভয়পক্ষ। এছাড়াও, আফগানিস্তানে আটক মার্কিন নাগরিকদের দ্রুত মুক্তির দাবিও জানায় মার্কিন প্রতিনিধি দল।
বৈঠকে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও বৈঠক করেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এসময় আফগান কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে আটকে থাকা দেশটির ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার ফেরত দেয়ার দাবি জানায়। এছাড়া, আফগান নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়েও দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয় হয় বলে জানা গেছে।
বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের বিরুদ্ধে কাউকে আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করতে না দেয়ার প্রতিশ্রুতি পুনঃর্ব্যক্ত করে তালেবান।
এর আগে, ২০২১ সালের আগস্টে দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের ফিরিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর পরপরই পশ্চিমা সমর্থিত আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিকে হটিয়ে কাবুলের ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করে তালেবান। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে বর্তমান তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।