কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকের সামনে রোগীদের দীর্ঘ লাইন। ছবি: ভিডিও থেকে নেয়া
রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকের সামনে প্রতিদিন দেখা যায় দীর্ঘ লাইন। কয়েক মাস ধরেই দীর্ঘ হচ্ছে এখানকার লাইন। জুন-জুলাইতে প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার হাজার রোগী হলেও কোনো কোনো দিন ছয়-সাত হাজারও ছাড়িয়ে যায় রোগীর সংখ্যা।
তবে এদের মধ্যে ভর্তি রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক কম। ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, জ্বরের পাশাপাশি অতিরিক্ত দুর্বলতা, বমি, শরীর ব্যথার মতো উপসর্গ থাকা লোকজনই ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে।
জুন শেষে মৃত্যুর পরিসংখ্যানে যে ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছিল, তা কিছুটা হলেও কমেছে জুলাই মাসের পর। গত মাসে মৃত্যুর হার ছিল সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ। তবে এবার জুলাই মাসে আক্রান্তের সংখ্যা যখন ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে, তখন মৃত্যুর হার সংখ্যার দিকে বাড়লেও মোট রোগীর অনুপাতে তা শূন্য দশমিক ৪৭ ভাগ কম।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম কিবরিয়া বলছেন, বহির্বিভাগ কিংবা ভর্তি রোগীর অবস্থা দেখলেই মনে হয় ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে। আগেভাগেই রোগী আসছে হাসপাতালে। শক কিংবা হিমোরেজিক রোগী কিছুটা আগেই চিহ্নিত হওয়ায় কমছে মৃত্যুঝুঁকি।
এডিসের বংশ বিস্তার রোধের ক্ষেত্রেও যদি সাধারণ মানুষ আরও সচেতন হয়, তাহলে ডেঙ্গু মোকাবিলা অনেক সহজ হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।