তামিম ইকবালের কাছেই আছে সকল প্রশ্নের উত্তর। চোটকে পাশ কাটিয়ে তামিম ফিরতে পারেন কিনা সে অপেক্ষায় বিসিবি। ছবি: সংগৃহীত
সামনেই এশিয়া কাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বড় দুই আসর সামনে রেখে এখন জোরেশোরে প্রস্তুতি পর্ব চলার কথা। কিন্তু কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর এখনও খুঁজে ফিরছে বাংলাদেশ দল। ওপেনার ও অধিনায়ক তামিম ইকবালকে নিয়ে অনিশ্চয়তা একটা বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে ঝুলছে টাইগারদের টিম ম্যানেজমেন্টের সামনে। চোট কাটিয়ে তামিমের এই দুই আসরে তামিমের খেলা নিয়ে যেমন অনিশ্চয়তা আছে, তেমনই অধিনায়কত্বের বিষয়টিও ঝুলে থাকছে।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের মিশন শুরু হবে ৩১ আগস্ট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের খেলা। এরপর অক্টোবরে ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছে খুব বড় কোনো ঘটনা না ঘটলে এশিয়া কাপের দলটাই খেলবে বিশ্বকাপে। তেমনই বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিশ্চিত করেছেন – ফিট থাকলে তামিম ইকবালই এই দুই আসরে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন।
তবে তামিম ইকবালের মাঠে ফেরা-না ফেরার ওপর জাতীয় দল নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে। যে কারণে এশিয়া কাপের দল নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না জাতীয় দলের নির্বাচকরা। তামিম ইকবালের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে বিকল্প ওপেনার নেওয়ার বিষয়টি। তামিম যদি ফিট হন এবং এই দুই আসরে খেলেন, তবে অনুমিতভাবে তিনিই লিটন দাসের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করবেন।
তবে তামিম যদি খেলতে না পারেন তবে লিটন দাসের সঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে হবে অন্য কাউকে। সে ক্ষেত্রে তৈরি রাখতে হবে বিকল্প ওপেনারও। তাই বিষয়টির সমাধান দিতে পারেন কেবল তামিম। তার কাছ থেকে খেলার নিশ্চয়তা পেলে একভাবে চিন্তা করবেন নির্বাচকরা। আর দোটানায় থাকলে বোর্ডকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বেক্সিমকোর ধানমন্ডির অফিসে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বিসিবির পরিচালক ও নির্বাচকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পাপন। তবে বৈঠক শেষ হওয়ার অনেক আগেই বেরিয়ে যান নির্বাচকরা।
বৈঠক শেষে পাপন বেরিয়ে এলেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এ সময় তামিম ও মাহমুদউল্লাহর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইমার্জিং দল, বাংলা টাইগার্সের কী অবস্থা এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওরকম (তামিম বা মাহমুদউল্লাহর বিষয়ে) কোনো আলোচনাই হয়নি। ধারাবাহিকভাবে মিটিং চলছে।’
তবে, গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দুয়েক দিনের মধ্যেই তামিমের সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলতে পারেন ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
এর আগে গতমাসে আকস্মিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম। তবে ৪৮ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি। খেলায় ফিরলেও অধিনায়কত্ব করবেন কিনা সেটা একটা ‘কিন্তু’র ওপর রেখে দিয়েছেন। সে সময় বিসিবির কারও সঙ্গে দেখাও করেননি তামিম। বরং জানিয়েছিলেন, ইংল্যান্ড থেকে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরে প্রটোকল মেনে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যানের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলবেন।
এবার দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে চাঞ্চল্যকর এক দাবি করা হয়েছে। গণমাধ্যমটি দাবি করেছে, বিসিবিকে কিছু শর্ত দিতে পারেন টাইগারদের এই ওয়ানডে অধিনায়ক। বিশেষ করে নেতৃত্ব ইস্যুতে। কারণ তামিম মনে করেন, তাকে পাশ কাটিয়ে দলের অপর এক তারকা খেলোয়াড়, যে কিনা বাকি দুই ফরম্যাটের অধিনায়ক, তার সঙ্গেই কথা বলেন বোর্ড কর্মকর্তারা। এমনকি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, প্রধান কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহে ও খেলোয়াড়রাও তাকেই বেশি গুরুত্ব দেন। তামিম এই ব্যাপারটাকে ‘প্রটোকল ভাঙা’ বলে মনে করেন। তাই তিনি চান প্রটোকল অনুসরণ করেই সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।