নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়ার প্রতিবাদে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টায় জেলা যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ব্যানারে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান সড়কের মুখে গিয়ে শেষ হয়। পরে ওইস্থানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাবের আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা যুব দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান, জেলা ছাত্র দলের সভাপতি আজগর আলী দুখুসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতারা।
বক্তারা বলেন, তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে করা মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক এবং মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে। ৱসরকারের ইশারাতেই এ রায় হয়েছে। এটি একটি ফরমায়েশি রায়, সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন এসব করতেছে।
আরও পড়ুন: বিচারবিভাগ নির্দেশ দিলে তারেক ও জুবাইদাকে ফেরানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে বুধবার (২ আগস্ট) জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত কারাদণ্ডের পাশাপাশি তারেক রহমানকে ৩ কোটি ও জুবাইদা রহমানকে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলার বাকি দুই আসামি তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানু। ২০০৮ সালে তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়।
গত ৩০ জানুয়ারি তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে আদালতে হাজির হতে বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয় থেকে গেজেট প্রকাশ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান।
গেজেটে বলা হয়, তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালতের বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেফতার ও বিচার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনে রয়েছেন। সেহেতু তাদের আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পাদন করা হবে।
গত বছরের ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। বর্তমানে তারা পলাতক। তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।