ঊর্ধ্বমুখী ডাবের দাম। ছবি: সংগৃহীত
দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। আর ডেঙ্গুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডাবের দাম। রাজধানীতে প্রতি পিস ডাবের দাম ছাড়িয়েছে ২০০ টাকা।
শনিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে ডাবের। আর এ সুযোগে চড়া দামে ডাব বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এলাকাভেদে প্রতি পিস বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত। আর মাঝারি ও ছোট আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত।
ক্রেতাদের দাবি, সিন্ডিকেট চলছে ডাবের বাজারে। ডেঙ্গুর প্রভাব কাজে লাগিয়ে চড়া দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা।
মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় রতন নামে এক ক্রেতা বলেন,
হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত ভাইয়ের জন্য ডাব কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু ডাবের দাম অনেক বেশি। একটা ডাবের দাম ২০০ টাকা।
রাজধানীর সদঘাটের ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় হাঁটতে আসা একজন বলেন, ডাবের দাম এখন নাগালের বাইরে। কয়েক মাস আগেও প্রতি ডাব ১০০ টাকার নিচে বিক্রি হয়েছে। সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকার ওপরে।
আরেক ক্রেতা মহসিন বলেন,
ডাবের বাজারে সিন্ডিকেট চলছে। প্রতিবছর এ সময় এলেই ডাবের দাম বাড়িয়ে দেয় ব্যবসায়ীরা। অধিক মুনাফার লোভে ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাবের সুযোগ নেয় অধিকাংশ অসাধু ব্যবসায়ী।
তবে বিক্রেতাদের দাবি, প্রতিবছর আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে ডাবের সরবরাহ কমে যায়। পাশাপাশি ডেঙ্গুসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ ও গরমের কারণে ডাবের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। এতে দাম বাড়ে।
রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় ডাব বিক্রি করা সোলেয়মান জানান,
ডেঙ্গু রোগ বাড়ায় ডাবের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। তবে ডাবের পর্যাপ্ত জোগান নেই। ফলে দাম কিছুটা বাড়ছে।
আরেক ডাব বিক্রেতা বলেন, ডাবের বাজারে কোনো সিন্ডিকেট নেই। সরবরাহ কম থাকায় ও চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে।
এদিকে ডাবের পাশাপাশি বেড়েছে অন্যান্য ফলের দামও। বাজারে প্রতিকেজি পেয়ারা ৬০ টাকা, রুপালি আম ১৩০ টাকা, মাল্টা ২৩০ টাকা ও ডালিম বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। আর প্রতি পিস আনারস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ বাড়লে ফলের দাম কমবে। আর ক্রেতারদের দাবি, সিন্ডিকেট ভেঙে স্থিতিশীল করতে হবে ফলসহ নিত্যপণ্যের বাজার।