ছবি : সংগৃহীত
পাঁচ দিনের টানা বৃষ্টিতে ফের ডুবে গেছে চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল। দুর্ভোগে পড়েছে নগরবাসী। কোথাও কোমর আবার কোথাও হাঁটু সমান পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। পানি প্রবেশ করেছে বাসা-বাড়ি ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি সকাল ৯টা ৪৬ মিনিট থেকে কর্ণফুলী নদীতে জোয়ার শুরু হয়েছে। ভাটা হবে বিকেল সোয়া ৩টায় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি নাথ।
এদিকে, নগরীর মুরাদপুর থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমেছে সড়কে। পানিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বহু যানবাহন বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সড়কের দুই পাশে যানবাহনের দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়েছে। পানি ঢুকেছে বহদ্দারহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি ভবনের নিচতলায়। চট্টগ্রাম ওয়াসার নিচতলায়ও পানি ঢুকেছে। মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়ির সামনের সড়কে কোমর সমান পানি। তার বাড়িতেও পানি ঢুকেছে। বহদ্দারহাট এলাকার প্রতিটি অলিগলিতে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমেছে।
আজও পানি ঢুকেছে চাকতাই-খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন পণ্যের গুদামে। নগরীর বাদুরতলা, বাকলিয়া মাস্টার পোল, কমার্স কলেজ এলাকায় বাসা-বাড়িতে পানি প্রবেশের পাশাপাশি বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে পণ্য।
এ ছাড়া নগরীর বাকলিয়া মিয়াখান নগর, চকবাজার, ষোলশহর, হালিশহর, মুরাদপুর, চান্দগাঁও, বলিরহাট, ছোট পুল, বড় পুল, মা ও শিশু হাসপাতাল এলাকা, সিডিএ আবাসিক এলাকা, শান্তিবাগ আবাসিক, রিয়াজুদ্দিন বাজার, মেহেদীবাগ, ষোলশহর ২ নম্বর গেট এলাকাসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতায় সকাল থেকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি নাথ জানান, নিম্নচাপের কারণে এ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টি আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। যেসব এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাত হবে সেসব এলাকায় পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে।