মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন
প্রধান সংবাদ :
খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মীরগঞ্জ মুলাদি সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। রাকুদিয়া নতুন হাটে মুদি দোকানে চুরি কাশ্মীর হামলার পর চরম উত্তেজনা: ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েন প্রধান উপদেষ্টা বরাবর মুফতি আরিফ বিন হাবিবের খোলা চিঠি প্রদান  কাউনিয়া আরজু মনি স্কুল সংলগ্ন  ভাঙ্গারির ব্যবসার আড়ালে মুন্নি ও হানিফের প্রকাশ্যে চলছে মাদক ব্যবসা  বরিশাল মহানগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তারিকুল ইসলাম ঝুনুকে দেখতে চান স্থানীয় নেতাকর্মীরা অন্তর্বর্তী সরকারের গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও রুটিন মাফিক কাজ ছাড়া অন্য কোন দায়িত্ব নেই — আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বরিশালের কাজির হাট থানায় বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়নে সেনা সদস্যের নামে মিথ্যা মামলা। বরিশাল আদালতের সামনে মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিমকে মেয়র ঘোষণার জন্য অবস্থান কর্মসূচি করে আগামী ৩ বছরের জন্য বরিশাল মহানগর ইমাম সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গ্রেফতার-বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন যারা

আন্তর্জাতিক, একুশে বিডি ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০২৩
  • ৭৫ জন নিউজটি পড়েছেন

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, জুলফিকার আলী ভুট্টো ও ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান (পিটিআই) ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করা করা হয়েছে। শনিবার (৫ আগস্ট) তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় আদালত থেকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও রাজনীতিতে পাঁচ বছরের জন্য অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার পরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এর মধ্যদিয়ে চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো গ্রেফতার হলেন তারকা ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরান খান। এর আগে আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গন থেকে গ্রেফতার করা তাকে।

কিন্তু ইমরান খানই পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নন, যারা গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। স্বাধীনতার পর থেকেই দেশটিতে রাজনীতিকদের গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি ইতিহাস রয়েছে এবং বেশিরভাগ প্রধানমন্ত্রীকেই এই হয়রানির মধ্যদিয়ে যেতে হয়েছে।

ইমরান খানের আগেও পাকিস্তানের যেসব রাজনীতিক বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার, বিচার ও শাস্তির মুখে পড়েছেন তা এখানে তুলে ধরা হলো-

১৯৬০-এর দশক: হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি হওয়া প্রথম রাজনীতিক হলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন ১৯৫৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৫৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পাকিস্তানের ৫ম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন

১৯৫৮ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জাকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেন জেনারেল আইয়ুব খান। কিন্তু তার সরকারকে অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানান সোহরাওয়ার্দী। এ কারণে তাকে প্রথমে ‘ইলেক্টিভ বডিস ডিসকোয়ালিফিকেশন অর্ডারে’র (এবডো) মাধ্যমে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

এরপর পাকিস্তান সিকিউরিটি অ্যাক্ট ১৯৫২-এর আওতায় ‘রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে’র অভিযোগ এনে ১৯৬২ সালের জানুয়ারিতে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং করাচি সেন্ট্রাল জেলে বন্দি করা হয়।

১৯৭০-এর দশক: জুলফিকার আলী ভুট্টো

১৯৭৩ সালের আগস্ট থেকে ১৯৭৭ সালের জুলাই পর্যন্ত পাকিস্তানের ৯ম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জুলফিকার আলী ভুট্টো। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ১৯৭৪ সালে এক বিরোধী রাজনীতিককে হত্যার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে ১৯৭৭ সালের সেপ্টেম্বরে জুলফিকার আলী ভুট্টোকে গ্রেফতার করা হয়।

কিন্তু লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি খাজা মোহাম্মদ আহমদ সামদানি তাকে মুক্তি দেন। তিনি বলেন, তার গ্রেফতারের কোনো আইনি ভিত্তি নেই। কিন্তু তিনদিন পরই সামরিক আইনে তাকে ফের গ্রেফতার করা হয়।

১৯৭৮ সালে জেনারেল জিয়াউল হক ক্ষমতায় এলে ওই হত্যার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলার বিচার শুরু হয় এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ১৯৭৯ সালের ৪ এপ্রিল তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

১৯৮০-এর দশক: বেনজির ভুট্টো

জলফিকার আলী ভুট্টোর কন্যা বেনজির ভুট্টো দুই দুইবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রথমবার ১৯৮৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের আগস্ট পর্যন্ত। আর দ্বিতীয়বার ১৯৯৩ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৯৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত।

জেনারেল জিয়াউল হকের ক্ষমতা দখলের পর ১৯৭৯ সালে জুলফিকার আলী ভুট্টোর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে মাত্র ২৬ বছর বয়সে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) দায়িত্ব গ্রহণ করেন বেনজির ভুট্টো।

জিয়াউল হক ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। এই সময় বাবাকে উৎখাতকারী জেনারেল জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানোর জন্য বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হন বেনজির।

মূলত ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তাকে গৃহবন্দী অবস্থায় রাখা হয়। এরপর ১৯৮৪ সালে তিনি লন্ডনে চলে যান। পরের বছর তথা ১৯৮৫ সালে ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার দাফনানুষ্ঠানে যোগ দিতে আবারও দেশে ফেরেন তিনি। এবার তাকে ৯০ দিনের জন্য গৃহবন্দি করা হয়।

এরপর মুক্তি পেয়ে বেনজির সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলেন। ১৯৮৬ সালে স্বাধীনতা দিবসে করাচীর এক জনসভায় সরকারের সমালোচনা করায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

১৯৮৮ সালের আগস্টে রহস্যময় এক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন জেনারেল জিয়াউল হক। এর তিন মাস পর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে বেনজির ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পিপিপি জয়ী হলে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি।

১৯৯০-এর দশক

মে, ১৯৯৮: ১৯৯৭ সালের নির্বাচনে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল) ক্ষমতায় আসে। ১৯৯৮ সালের মে মাসে নওয়াজ শরিফের শাসনামলে বেনজির ও তার স্বামী আসিফ আলী জারদারি সুইস ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পাচার ও বিভিন্ন আর্থিক অসদাচরণের অভিযোগের মুখোমুখি হন।

এপ্রিল, ১৯৯৯: ১৯৯৯ সালে বেনজির নির্বাসনে থাকার সময় তাকে ও তার স্বামী আসিফ আলী জারদারিকে যথাক্রমে তিন ও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। বেনজির ভুট্টোকে রাজনীতিতে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। পরে উচ্চ আদালত এই রায়কে পক্ষপাতদুষ্ট হিসেবে ঘোষণা দেন।
২০০০-২০১০

সেপ্টেম্বর, ২০০৭: ১৯৯৯ সালের সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। ক্ষমতায় এসেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে ১০ বছরের জন্য নির্বাসন দেন তিনি।

দীর্ঘ ৮ বছর পর ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন নওয়াজ। কিন্তু তার ইসলামাবাদ বিমানবন্দর অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর তাকে গ্রেফতার করে ফের সৌদি আরব পাঠানো হয়।

নভেম্বর, ২০০৭: জেনারেল মোশাররফের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ ঘোষণা করেন বেনজির ভুট্টো। ওই লংমার্চে নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল বেনজিরের। কিন্তু তার আগেই তাকে আটক করা হয় এবং পাকিস্তান পিপল’স পার্টির (পিপিপি) অন্যতম নেতা ও সিনেটর লতিফ খোসা’র বাড়িতে এক সপ্তাহের জন্য গৃহবন্দি করা হয়।

২০১০-২০২০

জুলাই, ২০১৮: পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারিতে নওয়াজ শরিফকে গ্রেফতার করা হয় এবং ওই মামলায় ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (ন্যাব) আদালত তাকে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণা করে ও ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়।

একই মামলায় ৭ বছর কারাদণ্ড দেয়া তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকেও। কারাদণ্ডাদেশের পাশাপাশি নওয়াজকে ৮০ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড ও মরিয়মকে ২০ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড জরিমানা করা হয়।

ডিসেম্বর, ২০১৮: আলোচিত ফ্ল্যাগশিপ ইনভেস্টমেন্ট ও আল আজিজিয়া স্টিল মিল দুর্নীতি মামলায় নওয়াজ শরিফকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয় অ্যাকাউন্টেবিলিটি আদালত।

পাশাপাশি তাকে ২৫ লাখ মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়। তবে পরের বছর তথা ২০১৯ সালে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। সেই থেকে তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থান করছেন।

জুলাই ২০১৯: পিএমএল-এন তথা নওয়াজের দলের নেতা শহিদ খাকান আব্বাসি ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের মে মাস পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

এক দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই তাকে গ্রেফতার করে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (ন্যাব)। প্রায় ছয় মাস জেল খাটার পর ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তাকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়।

২০২০ সালের পর

সেপ্টেম্বর, ২০২০: অর্থপাচার মামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (ন্যাব)। ওই মামলায় তার জামিন দিতে অস্বীকার করে লাহোর হাইকোর্ট। এরপর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সাত মাস পর তাকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়।

মার্চ, ২০২৩: গত বছরের এপ্রিল মাসে পিএমএল-এন নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট জোটের অনাস্তা প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন পিটিআই নেতা ইমরান খান।

এর পরপরই তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তোলা হয় এবং মামলা দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত গত এক বছরের কিছু বেশি সময়ে তার বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক মামলা হয়েছে।

এর মধ্যে এক বিচারককে হুমকি দেয়া ও তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তার বিরুদ্ধে চলতি বছরের মার্চ মাসে দুটি পৃথক পৃথক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

তবে পিটিআই কর্মী ও সমর্থকদের প্রতিবাদের মুখে তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। লাহোরের জামান পার্কের বাসভবনে একাধিকবার অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয়।

মে, ২০২৩: এরপর আল কাদির ইউনিভার্সিটি ট্রাস্ট সম্পর্কিত এক দুর্নীতি মামলায় শুনানিতে হাজির হলে গত ৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গন থেকে ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়।

তবে সুপ্রিম কোর্ট তার ওই গ্রেফতারকে ‘অবৈধ ও বেআইনি’ ঘোষণা করলে দুদিন পর তাকে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় শনিবার (৫ আগস্ট) তাকে জামান পার্কের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

একুশে বিডি ডটকম এর জন্য সারাদেশে সংবাদ দাতা নিয়োগ চলছে
যোগাযোগঃ- 01773411136,01778927878 ekusheybd2021@gmail.com

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন

Salat Times

    Dhaka, Bangladesh
    Monday, 12th May, 2025
    SalatTime
    Fajr3:54 AM
    Sunrise5:17 AM
    Zuhr11:55 AM
    Asr3:18 PM
    Magrib6:32 PM
    Isha7:56 PM
© All rights reserved © 2019 ekusheybd.com
Theme Customized BY mrhostbd.com
themesba-lates1749691102