হাইকোর্ট ভবন। ছবি
বেসিক ব্যাংক জালিয়াতির মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চার আসামিকে যেকোনো মুহূর্তে গ্রেফতার করতে পারবে বলে আদেশ দিয়েছেন চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে হাইকোর্টের আত্মসমর্পণের আদেশ স্থগিত করা হয়েছে।
বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে এমন আদেশ দিয়েছেন চেম্বার আদালত।
চার আসামি হলেন: বেসিক ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের এজিএম সাদিয়া আক্তার শাহীন ও এজিএম এ এস এম আনিসুর রহমান, মতিঝিল লোকাল অফিসের এজিএম মো. জালাল উদ্দিন এবং গুলশান শাখার এজিএম রুমানা আহমেদ।
এর আগে ৩ আগস্ট বেসিক ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনায় ২০ মামলায় এই চার আসামিকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গত ১২ জুন অর্থ জালিয়াতিসহ বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতির ৫৯টি মামলায় সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুসহ ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক সচিব মাহবুব হোসেন জানান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বেসিক ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে ২ হাজার ২৬৫ কোটি ৬৮ লাখ ১৪৫ টাকা আত্মসাতে ৫৯টি মামলা হয়। পাঁচজন তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাগুলোর তদন্ত শেষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন মামলাগুলোর চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন করেছে।
এর আগে বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে ২০১৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর তিন দিনে টানা ৫৯টি মামলা করে দুদক। মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় করা এসব মামলায় মোট আসামি করা হয় ১৫৬ জনকে। মামলায় আসামিদের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা রয়েছেন ২৬ জন। বাকি ১৩০ জন আসামি ঋণগ্রহীতা ৫৪ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ও সার্ভে প্রতিষ্ঠান।
এর মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে ৪৮টি মামলায়। সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া ডিএমডি ফজলুস সোবহান ৪৭টি, কনক কুমার পুরকায়স্থ ২৩টি, গ্রেফতার হওয়া মো. সেলিম ৮টি, বরখাস্ত হওয়া ডিএমডি এ মোনায়েম খান ৩৫টি মামলার আসামি।