অভিযুক্ত সেন্টু মিয়া ও ভুক্তভোগীর ঘর। ছবি
বেসরকারি প্রকল্পের পাকা ঘর ও নলকূপ দেয়ার লোভ দেখিয়ে প্রতারণা। নেত্রকোনার কলমাকান্দায় দশটি গ্রামের তিন শতাধিক মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা একটি চক্র। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা কলমাকান্দার শুনই গ্রাম। গৃহিণী খুদেজা বেগমের কাছ থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পের আওতায় নতুন পাকা বাড়ি দেয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নেন একই এলাকার পোশাক কর্মী সেন্টু মিয়া। একইভাবে প্রায় তিন লাখ টাকা দেন কৃষক রিটিশ মিয়াও।
তাদের মতো উপজেলার প্রায় দশটি গ্রামের তিন শতাধিক মানুষের কাছ থেকে পাকা বাড়ি ও নলকূপ দেয়ার কথা বলে কৌশলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় সেন্টু মিয়া ও তার অনুসারীরা। এক সপ্তাহের মধ্যে পাকাঘর ও নলকূপ দেয়ার কথা থাকলেও হঠাৎ করেই উধাও চক্রটি। টাকা ফেরতসহ অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের।
ভুক্তভোগী খুদেজা বেগম বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ, ধারদেনা করে তাকে ক্যাশ টাকা দিয়েছি। আমাকে বলেছে ছাদসহ পাকা ঘর করে দিবে। কিন্তু হঠাৎ করে তারা উধাও হয়ে গেছে।’
আরেক ভুক্তভোগী রিটিশ মিয়া বলেন, ‘শুধু আমার কাছ থেকে নয় এমন শত শত মানুষের কাছ থেকে তারা এক সপ্তাহের মধ্যে ঘর করে দেয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন টাকা পয়শা সব নিয়ে তারা লাপাত্তা হয়ে গেছে।’
এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম বলেন, ‘প্রতারক চক্রের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
উল্লেখ্য, ঘর ও নলকূপ দেয়ার কথা বলে আড়াই লাখ টাকার ভুয়া একটি চেক দেয়ায় সন্দেহ হয় ভুক্তভোগী সেলিম মিয়ার। এরপরই টনক নড়ে সবার।