বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার গুলশানের ঠিকানায় রুলের নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (১৩ আগস্ট) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন। এসময়, আদালত প্রয়োজনে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দিতে বলেন। সকালে তার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আদেশে বলেন, প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধের বিষয়ে তার ঠিকানা সংশোধন করে রিটকারীকে নতুন আবেদন করতে বলেন।
এ সময় তারেক রহমানের বিদেশে বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়। তারেক রহমানের পাসপোর্টের মেয়াদের বিষয়েও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন আদালত। আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়।
গত ১০ আগস্ট শুনানিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় একপক্ষ অপর পক্ষকে বিভিন্ন বিষয়ে কটূক্তি ও মন্তব্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা ও অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। তারেক রহমানের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
প্রসঙ্গত: ২০১৫ সালে আইনের চোখে পলাতক থাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধ করে নির্দেশ দিয়েছিলেন কোর্ট। বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের আদেশে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সব ধরনের মিডিয়ায় এই ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় তারেক রহমান। লন্ডন থেকে প্রায়ই তার বক্তব্য প্রচার হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ আগস্ট তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধ চেয়ে রুল শুনানির আবেদন করেন আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা লীনা।