ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। একই সঙ্গে ডেঙ্গু মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর বাংলাদেশে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন শত শত রোগী।
সংস্থাটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে ডেঙ্গু বৃদ্ধি অস্বাভাবিক এবং আগের বছরগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। এই ঢেউ শুরু হয়েছিল জুনের শেষে। আগের বছরের তুলনায় চলতি বছর এ পর্যন্ত মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে বেশি।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রাক-বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার জরিপে দেখা যায়, মশার ঘনত্ব এবং সম্ভাব্য হটস্পটের সংখ্যা গত পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। উচ্চ তাপমাত্রা এবং উচ্চ আর্দ্রতা, অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের প্রেক্ষাপটের কারণে বাংলাদেশে মশার সংখ্যা বেড়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এডিস মশার প্রজনন স্থান ধ্বংস ও মশা রোধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি
শনিবার (১২ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এনিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু হলো ৩৮৭ জনের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২ হাজার ৪৩২ জন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার একদিনে ২ হাজার ৪৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৮২ হাজার ৫০৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৪১ হাজার ৭০৪ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪০ হাজার ৮০২ জন।