শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ফাইল ছবি
শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের সামনে ভিড় না করার জন্য অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে তেজগাঁও কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অভিভাবকদের প্রতি এ অনুরোধ জানান শিক্ষামন্ত্রী।
দীপু মনি বলেন, ‘আমরা খেয়াল করেছি প্রতি কেন্দ্রের বাইরে অনেক ভিড়। পরীক্ষার্থীদের বাবা-মা, অভিভাবকরা ভিড় করছেন। অবশ্য আমরা যখন পরীক্ষা দিয়েছি, তখনও আমাদের বাবা-মায়েরা আসতেন। আমরা কাউকে দোষ দিতে পারি না। বাবা-মা যারা আসেন, তারা যদি একদম গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন, তাহলে অন্য পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হয়। আমি আহ্বান জানাবো, আপনার সন্তানের মতো অনেকের সন্তান পরীক্ষা দিচ্ছে। তাই একটু দূরে থাকুন।’
আগামী বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এপ্রিল মাসে নেয়ার চেষ্টা থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন,
এবারও আমরা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। আগের মতো চেষ্টা করব এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে নিতে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন দারিদ্র্য যেন কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। অর্থাৎ রাষ্ট্র তার দায়িত্ব নেবে। সেই প্রতিজ্ঞা বঙ্গবন্ধু করে গেছেন। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছেন। কাজেই কোনও শিক্ষার্থীর যদি এই রকম অবস্থা থাকে, যদিও আজকাল ওই রকম অবস্থা খুব কম থাকে। যেটি থাকে সেটির ব্যবস্থা আমরা করতে পারি। যে সব শিক্ষার্থীর সক্ষমতা নেই তাদের ভর্তির ব্যবস্থা করবে, টিউশন ফি ফ্রি করে দেয়া, সেটিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করবে বলে আশা করি। আর সরকারের তো উপবৃত্তি আছেই।’
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে প্রায় সব পরীক্ষার্থীই কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। আর যারা একটু দেরিতে আসেন, তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ রেজিস্টারে লিখে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হয়েছে।
প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা হচ্ছে। এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী একটি বাদে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হবে। শুধু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) পরীক্ষা ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরে নেয়া হবে।