আকাশকে নির্যাতনের পর উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, সেখানেই চলছে চিকিৎসা। ছবি
নড়াইলে ঘরজামাই থাকতে না চাওয়ায় এক যুবককে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীর নাম আকাশ মোল্যা। তিনি সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আলতাফ মেল্যার ছেলে।
শনিবার (১৯ আগষ্ট) সদর উপজেলার ফুলশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে গুরুত্বর অবস্থায় উদ্ধার করে স্বজনরা নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এ সময় ঘটনার বিচার দাবি করেন তারা।
আকাশ মোল্যা ও তার মা ময়না বেগম জানান, চার মাস আগে তার সঙ্গে পাশ্ববর্তী ফুলশ্বর গ্রামের লিকটন মোল্যার মেয়ে তাহমিনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আকাশের শ্বশুর জামাই আকাশকে নিজের বাড়িতে রেখে জমিজমার কাজসহ গৃহস্থালীর যাবতীয় কাজ করিয়ে আসছিলেন। আকাশ বিষয়টি বুঝতে পারলেও বার বার স্ত্রী তহমিনাকে নিয়ে নিজেদের বাড়ি ফেরার চেষ্টা করে শ্বশুরের বাঁধার মুখে ব্যর্থ হয়।
এভাবে চলার এক পর্যায়ে শনিবার আকাশ স্ত্রীকে নিয়ে নিজ বাড়ি চলে আসতে চাইলে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বাঁধার মুখে পড়ে। তারা আকাশকে আটকে হাত-পা বেঁধে হত্যার উদ্দেশে বিলের কাদায় ফেলে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এর এক পর্যায়ে সে নিস্তেজ হয়ে পড়লে সেখানে ফেলে রেখে আসে।
আকাশের মা ময়না বেগম জানান, এভাবে পড়ে থাকার এক পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে এক পথচারি গোঙ্গানীর শব্দ শুনে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে পরে স্বজনরা আকাশকে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
এ ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান।