নিজেদের জালে বল জড়িয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সেন্টার ব্যাক লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। ছবি: গোল ডট কম
চলতি দলবদলে টটেনহ্যাম হটস্পার হারিয়েছে তাদের সবচেয়ে বড় তারকাকে। ক্লাবটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক হ্যারি কেইন পাড়ি জমিয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখে। তাই বলা যায় নতুন একটা যুগের সূচনা করেছে লন্ডনের ক্লাবটি। প্রিমিয়ার লিগে এদিন তারা নিজেদের মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। এরিক টেন হ্যাগের দলকে হারিয়ে নতুন অধ্যায়ের শুরুটা দারুণ হলো আনজে পস্তেকগ্লুর শিষ্যদের।
ডাগআউটে নতুন কোচ। ক্লাবের সেরা তারকা ও অধিনায়ক ক্লাব ছেড়ে গেছেন। এমন বাস্তবতায় সেই ক্লাব কিছুটা হলেও ব্যাকফুটেই থাকবে। এমন সময়ে মৌসুমের শুরুতে যদি দেখা হয়ে যায় লিগের অন্যতম শক্তিশালী দলের, স্নায়ুচাপটা বেড়ে যায় আরও। কিন্তু রোমাঞ্চকর ফুটবল খেলে সেই স্নায়ুচাপকে জয় করেছে টটেনহ্যাম হটস্পার। হ্যারি কেইন ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার পরে নতুন কোচ পস্তেকগ্লুর অধীনে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে তারা।
শনিবার (১৯ আগস্ট) হোয়াইটহার্ট লেনে সফরকারী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক টটেনহ্যাম। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে পাপা মাতার সার ও লিসান্দ্রো মার্টিনেজের আত্মঘাতী গোলে জয় নিশ্চিত হয় টটেনহ্যামের।
প্রথমার্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেও গোল করতে পারেনি টটেনহ্যাম। দুবার অবশ্য ইউনাইটেডের পোস্ট কাঁপিয়েছে টটেনহ্যাম। গোলের সুযোগ পেয়েছিল ইউনাইটেডও। ক্যাসেমিরো ও ব্রুনো ফার্নান্দেজকে হতাশ করেছেন স্বাগতিকদের নতুন গোলরক্ষক গিলেমো ভিকারিও। এদিন ইউনাইটেডের অধিনায়ক ফাঁকা পোস্ট পেয়েও বাইরে হেড করে দলকে ডুবান।
এদিন পেনাল্টির আবেদন করেও হতাশ হয়েছে দুদলই। টটেনহ্যামের সেন্টারব্যাক ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর হ্যান্ডবলের দাবিতে পেনাল্টির আবেদন করে ইউনাইটেড। কিন্তু সে দাবি নাকচ করে দেন রেফারি। পরে অবশ্য তিনি টটেনহ্যামকেও হতাশ করেন। রোমেরোকে ডিবক্সে ফেলে দিলে পেনাল্টির আবেদন করেছিল টটেনহ্যাম।
৪৯ মিনিটে সেনেগালিজ ডিফেন্ডার মাতার সার গোল এনে দেন টটেনহ্যামকে। আর ৮৩ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে বসেন ইউনাইটেডের আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। ইভান পেরিসিচের ক্রস নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন বুচার খ্যাত মার্টিনেজ।
চলতি লিগে এটি প্রথম জয় টটেনহ্যামের। এর আগে লিগের প্রথম ম্যাচে ড্র করেছিল পস্তেকগ্লুর দল। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়া এরিক টেন হ্যাগ দ্বিতীয় ম্যাচেই দেখল হারের মুখ।