ভারত বিশ্বকাপে একের পর এক চমক দেখিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রীলঙ্কার বিপেক্ষ রেকর্ড গড়ে জয় এবং ফেভারিট অস্ট্রেলিয়াকে হটিয়ে জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। আর সেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বড় অঘটনের জন্ম দেয় নেদারল্যান্ডস। তবে নিজেদের পরের ম্যাচটি জয় দিয়ে রাঙাতে পারল না ডাচ বাহিনী। এ দিকে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে বিশ্বকাপের প্রথম জয় পেল শ্রীলঙ্কা।
শনিবার (২১ অক্টোবর) বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয় শ্রীলঙ্কা। লখনৌর অটল বিহারী বাজপেয়ী স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৫০ ওভারে লঙ্কানদের ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় ডাচ বাহিনী। জবাবে ৪৮.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। চলতি বিশ্বকাপে এটিই লঙ্কানদের প্রথম জয়। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা হার দেখেছে শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচটিতে লঙ্কান পেসারদের সামনে শুরুতেই দিশেহারা অবস্থা হয় ডাচদের। দিলশান মাদুশঙ্কা এবং কাসুন রাজিথার তোপে ৭১ রানেই ৫ উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। বিপর্যয়ের ষোলকলা পূর্ণ দলীয় ৯১ রানে অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডসকে হারিয়ে। তবে সেখান থেকে নেদারল্যান্ডসকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন লোগান ফন বিক এবং সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট। দুজনের ১৩০ রানের জুটিতে শ্রীলঙ্কাকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দেয় দলটি। যেখানে কিছুটা ভুগতে হলেও জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা।
এ দিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি নেদারল্যান্ডসের। মাত্র ৪ রানেই ফিরেছেন ওপেনার বিক্রমজিত সিং। ম্যাক্স ওদাউদকে ফিরিয়েছেন কাসুন রাজিথা। ভালো শুরু পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি কলিন অ্যাকারম্যান। ৩১ বলে ২৯ রান করে ফিরেছেন তিনি।
বাস ডি লিডি এবং তেজা নিদামানুরুকে ফিরিয়েছেন মাদুশঙ্কা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের নায়ক ডাচ অধিনায়ককে দুর্দান্ত এক বলে বোল্ড করেন মহেশ থিকশানা। ৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যখন বিপর্যয়ে ডাচরা, তখন ত্রাণকর্তা হয়ে আসেন ফন বিক। এঙ্গেলব্রেখটকে নিয়ে গড়েন ১৩০ রানের বিশাল জুটি।
দুজনের জুটি ভাঙে ৭০ রান করে এঙ্গেলব্রেখট ফেরায়। রাজিথার বলে আউট হওয়ার আগে ফন বিক করেন ৫৯ রান। তাতে ২৬২ রানে থামে নেদারল্যান্ডসের ইনিংস। শ্রীলঙ্কার হয়ে চারটি করে উইকেট নেন রাজিথা এবং মাদুশঙ্কা। একটি উইকেট পেয়েছেন থিকশানা।
২৬৩ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ওপেনার কুশল পেরেরা সাজঘরে ফেরেন মাত্র ৫ রান করে। এরপরে ৫২ রানে অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে লঙ্কা বাহিনী। সে সময়ে দলের হাল ধরেন ওপেনার পাথুম নিশানকা ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। দুজনের জুটিতে আসে অর্ধ শতাধিক রান।
৫২ বলে ৫৪ রান করে নিশানকা আউট হলে সাদিরার সঙ্গে যোগ দেন চারিথ আসালঙ্কা। সাদিরা-আসালঙ্কা মিলে করেন ৭৭ রান। দলীয় ১৮১ রানে আউট হন আসালঙ্কা। এরপরে সাদিরাকে নিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যান ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।
তবে সিলভা দলের জয় নিয়ে ফিরতে পারেননি। কলিন আকারম্যানের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে প্যাভিলনে ফেরেন তিনি। ৩৭ বল থেকে ৩০ রান করেন ডি সিলভা। এরপরে দুশান হেমন্ত এসে দলের জয় নিশ্চিত করেন। শেষ পর্যন্ত ৯১ রান করে সাদিরা এবং ৪ রান করে হেমন্ত অপরাজিত থাকেন। নেদারল্যান্ডসের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আরিয়ান দত্ত।