শক্তিমত্তা কিংবা র্যাঙ্কিং বিচারে, বাংলাদেশের তুলনায় পিছিয়ে থাকলেও নেদারল্যান্ডসকে সহজ প্রতিপক্ষ ভাবার উপায় নেই। চলতি বিশ্বকাপে উড়তে থাকা শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাটিতে নামিয়ে এনে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে ডাচরা। এদিকে তাদের শিবিরে আছে টাইগারদের সাবেক ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক। যার কাছ থেকে জেনে নিয়েছেন, সাকিবদের শক্তি ও দুর্বলতার খুঁটিনাটি।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে শনিবার (২৮ অক্টোবর) ভারত বিশ্বকাপের ২৮তম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস। ৫০ ওভারের বিশ্ব আসরে দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে এক যুগ পর।
সবশেষ দেখায় ২০১১ সালের বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এর আগে ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফিতে ডাচদের হারিয়ে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেয়েছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। অন্যদিকে এখনো পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করতে পারেনি ডাচরা। র্যাঙ্কিংয়েও নেদারল্যান্ডসের তুলনায় ৬ ধাপ এগিয়ে আছে সাকিব আল হাসানের দল। ভারত বিশ্বকাপে যেখানে বাংলাদেশ সুপার লিগের সেরা তিনে থেকে জায়গা করে নিয়েছিল সেখানে নেদারল্যান্ডস পা রেখেছে বাছাইপর্ব খেলে।
কিন্তু তাই বলে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই স্কট এডওয়ার্ডসের দলকে। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার মতো দলকে রান পাহাড়ের চাপে ফেলা শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে চলতি আসরে প্রথম এবং একমাত্র হারের স্বাদ দিয়েছিল তারাই। ২০১১ সালের বিশ্বকাপের আগে ২০১০ সালে একবারের দেখাতেও আইসিসির পূর্ণ সদস্যের দেশ বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডস। চলতি আসরে ৫ ম্যাচে ১ জয় নিয়ে টেবিলের তলানিতে থাকলেও, মূলপর্বে তারা পা রেখেছিল দুই বারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে। তার ওপর ডাচ শিবিরে আছেন বাংলাদেশের সাবেক ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক। বাংলাদেশ দলের খুঁটিনাটি জানা আছে এ কোচের। সাকিব-মুশফিকদের কীভাবে পর্যুদস্ত করা যায়, সে পরামর্শ নিয়েই মাঠে নামবে এডওয়ার্ডসরা।
ম্যাচপূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে ডাচ অধিনায়ক এডওয়ার্ডস বলেন, ‘কুক দলের সঙ্গে থাকাটা অবশ্যই আমাদের জন্য খুব ভালো ব্যাপার। বিশেষ করে তিনি যেহেতু অনেক দিন বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রতিটি খেলোয়াড়কেই তিনি কাছ থেকে দেখেছেন। এমনকি ব্যক্তিগতভাবেও খেলোয়াড়দের নিয়ে কাজ করেছেন। তাদের সম্পর্কে তিনি খুব ভালো জানেন। তিনিও সেই অভিজ্ঞতাটা স্বাভাবিকভাবেই আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।’
ডাচদের হেড কোচ কুক, বাংলাদেশের দলের দায়িত্ব ছেড়েছেন বছর দুয়েক আগে। এর মাঝে দলে এসেছে অনেক পরিবর্তন। অনেক ক্রিকেটার যুক্ত হয়েছেন তো অনেকে আবার ছিটকে গেছেন। তাই বর্তমান বাংলাদেশ দলের সব খবর তার কাছে নেই। তবে তার পরামর্শ নিয়ে, নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দিয়েই খেলতে চায় এডওয়ার্ডসরা।
ডাচ অধিনায়ক বলেন, ‘রায়ান কুকের উপস্থিতিটাকে আমি অবশ্য দলের জন্য খুব বড় শক্তি মনে করি না। কারণ, তিনি বাংলাদেশ দল ছেড়ে দেয়ার পর নতুন বেশ কিছু খেলোয়াড় ওদের দলে এসেছে। আমরা তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে সে অনুযায়ী খেলতে চাই। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা, এ জন্য আমাদের সামর্থ্যের পুরোটা ঢেলে দিতে হবে।’
ইডেন গার্ডেন্সে দুদলের ম্যাচ শুরু হবে শনিবার দুপুর আড়াইটায়।