ছবি সংগৃহীত
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ছাত্রলীগ কর্মী জিয়াউল হাসান জুয়েল হত্যার ঘটনায় দুই যুবলীগ নেতাসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করা হয়েছে। নিহতের বাবা আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে মিরসরাই থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় মিঠানালা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. ইউনুসকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অন্য আসামিরা হলেন ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ হোসেন, ফারুক ও ইউনুসের বাবা আবুল বশর। অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের নতুন রাস্তার মাথায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ছাত্রলীগ কর্মী জিয়াউল হাসানকে (২২) নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি ওই ইউনিয়নের হাদিমুছা এলাকার আলী রাজা ভূঁইয়া বাড়ির মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে বাদ আসর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জুয়েলের বন্ধু গণেষ চন্দ্র নাথ বলেন, তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ১০ থেকে ১২ জন মিলে জুয়েলের উপর আক্রমণ করে। আমি জুয়েলের বাড়িতে খবর দেওয়ার জন্য দৌড় দিই। তার আগে জুয়েলকে শেষ করে দিলো। আগে আরও কয়েকবার জুয়েলকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে ইউনুস ও রিয়াদ।
মিঠানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ কাশেম বলেন, বুধবার সবাই আমাদের আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী মাহবুব উর রহমান রুহেলকে বরণ করতে গাড়ি বহরে যাই। সেই বহরে জুয়েলও ছিল। রাতে খবর আসে জুয়েলকে খুন করা হয়েছে। এটি কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নয়। আমি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, মিঠানালা ইউনিয়নে খুন হওয়া জিয়াউল হাসান জুয়েলের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় ইউনুসকে প্রধান আসামি করে নিহতের বাবা আলমগীর বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।