ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ফাইল ছবি
ভারতের জনগণ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে; ভবিষ্যতের যেকোনও অগ্রগতিতেও পাশে থাকবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা আরও বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে রক্তের ভাগাভাগি সম্পর্কের ইতিহাসকে ধারণ করতে পারে, তার উদ্যোগ বাড়াতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সামরিক যাদুঘর মিলনায়তনে স্বাধীন বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতিদানের ঐতিহাসিক দিবস স্মরণে ‘মৈত্রী চেতনায় যেতে হবে বহুদূর’ বিষয়ক সেমিনারে বক্তব্য দেন তিনি।
প্রণয় ভার্মা বলেন, গ্লোবাল সাউথের উন্নয়ন এবং সম্ভাবনা সম্পর্কে এক সঙ্গে বিশ্বকে নাড়া দিতে পেরেছে ভারত ও বাংলাদেশ। জনগণের মধ্যে যোগোযোগ বাড়াতে এখন অবকাঠামো, ডিজিটাল যোগাযোগ বাড়াচ্ছে দুদেশ।
সেমিনারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর আতিউর রহমান বলেন, সব ক্রান্তিকাল পেরিয়ে ঢাকা-দিল্লি রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে, যা অনেকের জন্যই ঈর্ষণীয়। ভারতের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পুঁজিকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের আরো উচ্চতায় পৌঁছানো সম্ভব। ‘পড়শিই প্রথম’, জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়ে তা প্রমাণ করেছে ভারত।
বাণিজ্যিক সম্পর্কের সম্প্রসারণে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সম্পর্কের উন্নয়ন সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাবে বলেও মনে করেন তিনি।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে জানিয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুর রশিদ বলেন, ’৭১ সালে বিশ্বের অনেক দেশের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ভারত। এটি পাস করতে ভারতের পার্লামেন্টে কোন বিরোধিতা ছিল না। আবার স্থলসীমান্তের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
দুদেশের মানুষে মানুষে সম্পর্কটা গভীরে চলে গেছে। এটা ধরে রাখতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে সহ্য করতে পারে না। ধর্মের একটা আবরণ দিয়ে সুসম্পর্ককে নষ্ট করার তৎপরতা দৃশ্যমান।
এ সময় প্রতিবেশী হিসেবে অমীমাংসিত ছোট ছোট ইস্যুকে সমাধান করার ওপর জোর দেন আবদুর রশিদ। তিনি বলেন, এতে করে বাড়তে থাকা বিপক্ষ শক্তি শিকড় গাঁড়তে পারবে না।