দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে ও বাতিল চেয়ে ৫৬১ জন প্রার্থী আপিল করেছেন। আপিল গ্রহণ শেষে রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে প্রার্থীদের আপিলের রায় পর্যায়ক্রমে দেওয়া হচ্ছে। বেশ কয়েক জনের শুনানির ফলাফলও ঘোষণা করা হয়েছে।
ফলাফল অনুযায়ী, টাঙ্গাইল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আহসান হাবীবেব আপিল নামঞ্জুর ও টাঙ্গাইল-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার আপিল মঞ্জুর করা হয়েছে। টাঙ্গাইল-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদুল ইলাহ অনুপস্থিত বলা হয়েছে।
এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান, গোপালগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ কবির মিয়া, জামালপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক জিয়া, যশোর-১ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আক্তারুজ্জামান, যশোর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম হাবিবুর রহমান, নোয়াখালী-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী তালেবুজ্জামান, চট্টগ্রাম-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল আবদুচ সালাম ও বরগুনা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খলিলুর রহমানের আপিল মঞ্জুর করা হয়েছে।
আপিল নামঞ্জুর করা হয়েছে জামালপুর-২ আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী আব্দুল হালিম মন্ডল, নেত্রকোনা-১ আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী ছমীর উদ্দিন এবং খুলনা-৬ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধুর। একইসঙ্গে ফরিদপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আরিফুর রহমানের আদেশ পরে দেওয়া হবে বলেও জানায় নির্বাচন কমিশন।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে ৭৪৭ স্বতন্ত্রসহ মোট দুই হাজার ৭১৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তারা এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৭৩১টি বাতিল ঘোষণা করেন। পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে ও বাতিল চেয়ে ৫৬১ জন প্রার্থী আপিল করেন। আপিল শুনানি চলছে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সাত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে বলে জানায় ইসি।