বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নয়জন হত্যা মামলায় পলাতক হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহীর বড় ভাই যুবলীগ নেতা জিয়াউর রহমানকে (৪৫) গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে বানিয়াচং উপজেলার উত্তরসাঙ্গর গ্রাম থেকে জিয়াউরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেখান থেকে বিকেলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি উত্তর সাঙ্গর গ্রামের কিম্মত আলীর।
পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্ট বেলা ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বানিয়াচং সাগরদিঘীর পশ্চিমপাড় ঈদগাহ মাঠ থেকে মিছিল বের করে। গ্যানিংগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলকারী ৪ থেকে ৫ হাজার লোক বড়বাজার শহীদ মিনারে গিয়ে জড়ো হন। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন মিছিল নিয়ে থানার সামনে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়।
আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। ঘটনার সময় পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে চারজনসহ আটজনজন নিহত হন। তখন চিত্র ধারণ করতে গেলে বিক্ষুব্ধরা এক সাংবাদিককে পিটিয়ে হত্যা করে। এ নিয়ে মোট নয়জন নিহত হন। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা থানার উপ-পরিদর্শক সন্তোষ চৌধুরীকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। পরদিন গুলিবিদ্ধ আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় নিহত নয়জনের পরিবারের পক্ষ থেকেও পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা দুটি মামলা করা হয়।
বানিয়াচং থানার উপপরিদর্শক ও নাইন মার্ডার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, তদন্তে ৯ হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় জিয়াউরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।